ইউক্রেন নতুনভাবে শক্তিমত্তা বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়ায় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে পশ্চিমা বিশ্ব। ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের ঘোষণাও দিয়েছে তারা। পরমাণু সংঘাতের আশঙ্কাও জানিয়েছেন পশ্চিমা নেতাদের কেউ কেউ। খবর রয়টার্সের।
জানা গেছে, তিন লাখ রিজার্ভড ফোর্স মোতায়েনের ঘোষণার পর ইউক্রেনের খারকিভ, লুহানস্ক, দোনেৎস্কসহ ইউক্রেনের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় চলছে মুহুর্মুহু রুশ হামলা। বাদ যাচ্ছে না, হাসপাতাল, স্কুল, আবাসিক ভবনসহ বেসামরিক স্থাপনাগুলোও। হামলার এমন তীব্রতা ও হতাহতের ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে পশ্চিমা দেশগুলোতে। মস্কোকে কঠোর জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এর পরিণতি হবে খুবই মারাত্মক। এমন সিদ্ধান্তে ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বমঞ্চে একঘরে হয়ে পড়বেন। শুধু তাই-ই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও তার এ সিদ্ধান্তের কঠিন জবাব দেবে, যার পরিণতি হবে ভয়াবহ।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক সক্ষমতার পরিধি বাড়ানোর পর দেশটিকে আরও সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর। পুতিনের সিদ্ধান্তে পরমাণু সংঘাতের আশঙ্কাও জানিয়েছেন অনেকেই।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্ট্রিন ট্রুডো বলেছেন, পুতিন পরমাণু হামলার হুমকিও দিয়েছেন; এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। এখন অন্য পক্ষগুলোও আর চুপ করে বসে থাকবে না। এতে করে পুরো বিশ্ব হুমকির মুখে পড়লো।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছেন, আমরা জরুরী ভিত্তিতে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাড়াবো। যতোদিন না ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে রুশ বাহিনী বিতাড়িত হচ্ছে ততোদিন পর্যন্ত কিয়েভকে সহায়তা দিয়ে যাবে লন্ডন।
এদিকে, পরিস্থিতি নতুন করে ঘোলাটে হয়ে ওঠায় রাশিয়ার ওপর নতুন করে অবরোধ আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
/এসএইচ
Leave a reply