রাজধানীর শাহ আলী এলাকায় বসু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলকেসকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। দীর্ঘ ১২ বছর পলাতক ছিল সে। বসু হত্যা মামলায় চার মাস কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে সাভারে আজহার ও সানু নামে আরও দুইজনকে হত্যা করে আলকেস।
২০১২ সালের ১৪ মে মিরপুরের শাহ আলী এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বসুকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখমের পর গুলি করে হত্যা করে আলকেস ও তার সহযোগীরা। এক যুগ পর বসু হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলকেসকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। এ মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানায় র্যাব।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বরিশাল থেকে র্যাব-৪ আসামিকে গ্রেফতার করে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেয় সংস্থাটি। র্যাব- ৪’র অধিনায়ক মোজাম্মেল হক জানান, আলকেস গোপনে সাভার বা এর আশেপাশের এলাকায় এলেও অধিকাংশ সময় বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা এলাকায় কাটাতো। যে কারণে তাকে এতদিন গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
বসু হত্যা মামলায় চার মাস কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে সাভারে আজহার ও সানু নামে আরও দুইজনকে হত্যা করে সে। পরে সিলেট গিয়ে হানিফ পরিবহনে চালক হিসেবে চাকরি নেয়। সেখানেও তার গাড়ির চাপায় একজন নিহত হওয়ার পর আলকেস পালিয়ে চলে যায় বরিশালে।
র্যাব- ৪’র অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, এই লোক একজন হ্যাবিচুয়াল অফেন্ডার; অর্থাৎ, একজন কুখ্যাত অভ্যাসগত অপরাধী। এ ধরনের অপরাধীদের গ্রেফতার প্রক্রিয়া আমরা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবো। তার নামে একটি মৃত্যুদণ্ড আছে, আর দুইটি হত্যা মামলা বিচারাধীন। এর সবগুলোরই ওয়ারেন্ট আছে। আর ডাকাতির প্রস্তুতির মামলারও ওয়ারেন্ট আছে। শুধু তাই নয়, মাঝখানে সে আমাদের কাছে স্বীকার করেছে যে, একটি মাদক মামলায়ও ধরা পড়েছিল। সেখানে তার নাম পরিবর্তন করে পুলিশের কাছে নাম বলেছে হারুন।
আরও পড়ুন: কম দামে গাড়ি বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে শতকোটি টাকার মালিক; অবশেষে গ্রেফতার
/এম ই
Leave a reply