আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাওয়ার ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৫৯ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জবাবে চিরাগ সুরির ব্যাটে ভালোই শুরু করে আমিরাত। মুহাম্মদ ওয়াসিম ১৫ বলে ১৫ রান করে রান আউট হয়ে ফিরে যান।
দীর্ঘদিন পর টি-টোয়েন্টিতে উইকেটের দেখা পেয়েছেন মেহেদী মিরাজ। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা চিরাগ সুরিকে ব্যাক্তিগত ৩৯ রানে ফেরান মেহেদী মিরাজ। একে একে তুলে নেন, আরিয়ান লাকরা ও ভৃত্য অরবিন্দের উইকেট।
মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে ৫ রানে ফিরে যান অধিনায়ক চুনদাঙ্গাপৌলি রিজওয়ান। আর শরিফুল তুলে নেন বাসিল হামিদের উইকেট।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংগ্রহ- ১৪.২ ওভারে ১০২ রানে ৭ উইকেট।
এর আগে, আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাওয়ার সিরিজে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে টিম টাইগার্স। উইকেট যাওয়া-আসার মিছিলে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে যেন নীরব ‘প্রতিযোগিতা’ চলছিল কে কার আগে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরবেন।
মিরাজ-সাব্বিরকে নামানো হয় প্রথমে ব্যাটে। সমালোচকদেরকে উচিৎ জবাব দেয়ার সুযোগ ছিল সাব্বির রহমানের। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। দলীয় ১১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত শূন্য রানে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সাব্বির রহমান। তারপরেই, ৭ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। তারপর ১৪ বলে ১২ রান করে হাওয়ায় ওড়ানো শট খেলে বোলারের হাতেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মিরাজ। মিরাজের দেখাদেখি ফিরে যান ইয়াসির আলীও। ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হন তিনি।
সবাই যখন একে একে উইকেট বিলিয়ে চলে যাচ্ছে সেখানে নিজেকেও ক্রিজে রাখতে হয়তো অস্বস্তিবোধ করছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। তাই তো ৮ বল খেলে ৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। বড় ছক্কা মারতে গিয়ে শেষে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন তিনি।
এরই মধ্যে ৩৮ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন আফিফ। অধিনায়ক সোহান এসে সঙ্গ দেন আফিফকে। সোহান দুই ছয় ও দুই চারে ২৫ বলে ৩৫ রান করেন। আফিফ হোসেন অপরাজিত থাকেন ৫৫ বলে ৭৭ রান করে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
/এনএএস
Leave a reply