টি-২০ বিশ্বকাপ ও তিন জাতি সিরিজকে সামনে রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে টাইগারদের আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাওয়ার সিরিজের প্রথম ম্যাচে হতাশ হতে নাই টাইগারদের। তবে, ৭ রানে জয় পেলেও তা ছিলো অনেকটা ঘাম ঝরানো।
ম্যাচের শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে টিম টাইগার্স। উইকেট যাওয়া-আসার মিছিলে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে যেন নীরব ‘প্রতিযোগিতা’ চলছিল কে কার আগে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরবেন।
মিরাজ-সাব্বিরকে নামানো হয় প্রথমে ব্যাটে। সমালোচকদেরকে উচিৎ জবাব দেয়ার সুযোগ ছিল সাব্বির রহমানের। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। দলীয় ১১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত শূন্য রানে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সাব্বির রহমান। তারপরেই ৭ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। তারপর ১৪ বলে ১২ রান করে হাওয়ায় ওড়ানো শট খেলে বোলারের হাতেই ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মিরাজ। মিরাজের দেখাদেখি ফিরে যান ইয়াসির আলীও। ব্যক্তিগত ৪ রানে আউট হন তিনি।
সবাই যখন একে একে উইকেট বিলিয়ে চলে যাচ্ছে, সেখানে নিজেকেও ক্রিজে রাখতে হয়তো অস্বস্তিবোধ করছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। তাই তো ৮ বল খেলে ৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। বড় ছক্কা মারতে গিয়ে শেষে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন তিনি।
এরইমধ্যে ৩৮ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন আফিফ। অধিনায়ক সোহান এসে সঙ্গ দেন আফিফকে। সোহান দুই ছয় ও দুই চারে ২৫ বলে ৩৫ রান করেন। আফিফ হোসেন অপরাজিত থাকেন ৫৫ বলে ৭৭ রান করে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
টাইগারদের দেয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানেই থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। সেই সুবাদে ৭ রানের জয়ে ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই হয় আরব আমিরাতের। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে তারা তোলে ১ উইকেটের খরচায় ৪৩ রান। যেখানে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩ উইকেটের খরচায় ৪২ রান।
আমিরাতের প্রথম উইকেটের দেখা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় ইনিংসের পঞ্চম ওভার পর্যন্ত। মারকুটে শুরুর পর রানের গতি বাড়াতে গিয়ে মোহাম্মদ ওয়াসিমের সাজঘরে ফেরার মধ্য দিয়ে ভাঙে স্বাগতিকদের উদ্বোধনী জুটি।
তবে উইকেট পতনের রেশ বিন্দুমাত্র রানের চাকার গতি কমাতে পারেনি চিরাগ সুরি ও আরিয়ান লাকরার কল্যাণে। মেহেদীর বলে দলীয় ৬৬ রানে সুরির সাজঘরে ফেরার পর এক প্রকারে ভেঙে পড়ে আমিরাতের ব্যাটিং লাইন আপ।
লাকরা ১৯, ভৃত্য আরভিন্দ ১৬, আরিয়ান আফজাল ২৫ ও কার্তিক মেইয়াপান ১২ ছাড়া দুই অঙ্কের রান ছোঁয়া সম্ভব হয়নি আমিরাতের আর কোনো ব্যাটারের পক্ষে।
মেহেদী মিরাজ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান যথাক্রমে ৩, ৩ ও ২টি উইকেট পান।
/এমএন
Leave a reply