হিজাবকাণ্ডে তরুণীর মৃত্যুতে উত্তপ্ত গোটা ইরান। সেই আগুনের উত্তাপ এবার যেনো ছড়িয়ে পড়ছে অন্যান্য দেশগুলোতেও। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) শতশত মানুষ বিচারের দাবিতে জড়ো হয়েছিলো ফ্রান্স ও লন্ডনের ইরান অ্যাম্বেসির সামনে। খবর এএফপির।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার ফ্রান্সে ইরান অ্যাম্ব্যাসির সামনে জড়ো হওয়া আন্দোলনরত মানুষদের সরিয়ে দিতে ফরাসি সরকারকে ব্যবহার করতে হয়েছে দাঙ্গা পুলিশ ও টিয়ার গ্যাস। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ফ্রান্সে চলছে আন্দোলন।
এদিকে পুলিশের বাধা পেরিয়ে আন্দোলন করার চেষ্টার অভিযোগে লন্ডনে গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী। কিন্তু পুলিশ বিক্ষোভকারীদের পথ আটকে দেয় এবং অ্যাম্বাসির দিকে যেতে বাধা দেয়। এছাড়া তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যবহার করা হয় কাঁদানে গ্যাস।
অপরদিকে হিজাববিরোধীদের সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। দেশটিতে চলমান হিজাববিরোধী আন্দোলনকে ‘দাঙ্গা’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, হিজাব ‘ঠিকমতো’ না পরায় আটক নারীর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ আরও ঘনীভূত হচ্ছে ইরানজুড়ে। সেখানকার নিরাপত্তা বাহিনীও রয়েছে মারমুখী ভূমিকায়। বিক্ষোভকারীদের সমাবেশে বাধা দিতে এবং বহির্বিশ্বে আন্দোলনের ছবির প্রবাহ বন্ধ করতে ইরান সরকার ইতোমধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এটিএম/
Leave a reply