বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শেখ হাসিনাকে একজন দূরদর্শী রাজনীতিক মনে করেন বিশিষ্টজনরা। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তার হাত ধরেই বাঙালির সত্যিকারের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব। তাই, এখনও শেখ হাসিনাকে বিকল্পহীন মনে করেন রাজনীতিবিদরা।
স্বজন, ঘনিষ্ঠজন বা সামনে থেকে যে যখনই কাছে পেয়েছেন, সবার কাছে অসাধারণ শেখ হাসিনা। শৈশব থেকে বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শ ধারণ করে বেড়ে উঠেছেন তার বড় কন্যা। এগিয়ে যাচ্ছেন বুক ভরা সাহস নিয়ে।পিতৃভূমি টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ এর ২৮ সেপ্টেম্বর তার জন্ম। নানা চড়াই উৎড়াইয়ে শেখ হাসিনা সবসময় হাস্যোজ্বল। মানুষের সাথে মিশেছেন সাধারণ একজন হয়ে।
১৯৫৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হলে ৭ বছর বয়সে পরিবারের সাথে শেখ হাসিনা চলে আসেন ঢাকায়। পড়ালেখা শুরু করেন টিকাটুলির নারী শিক্ষা মন্দির থেকে, যেটি এখন শেরেবাংলা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ। শিক্ষাজীবনেই নেতৃত্বের হাতেখড়ি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগে। পারিবারিকভাবেই রাজনীতিক শেখ হাসিনা এরই মধ্যে সততা ও আত্মত্যাগের উদাহরণ তৈরি করেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, আজ সারা বিশ্বব্যাপী যে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল ধরা হয়, বাংলাদেশকে এভাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন শেখ হাসিনা। আজ তার পদ্মা সেতু বাস্তব হয়েছে। তার নেয়া অন্যান্য অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা, বিশেষ করে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছে।
সংকট মোকাবেলা বা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নতুন পরিচয় দিয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে। শেখ হাসিনাকে এখনও বিকল্পহীন মনে করেন রাজনৈতিক সহকর্মীরা। পিতার হাতে গড়া, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি ১৯৮১ সাল থেকে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন কিংবা ওয়ান ইলেভেনের মতো পরিস্থিতি উত্তরণে ত্যাগ-তীতিক্ষার জন্য তাকে গণতন্ত্রের মানসকন্যা উপাধি দেন দলীয় কর্মীরা।
ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুন বলেন, শেখ হাসিনা একটি প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন বা যুদ্ধাপরাধের বিচার কিংবা ইমডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল- এগুলো প্রতিটি কিন্তু মানুষের মোউলিক অধিকার রক্ষায় এক একটি পদক্ষেপ। বিশেষ করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যুদ্ধাপরাধীরদের বিচার একটি বিশেষ কৃতিত্ব হিসেবে থেকে যাবে।
৭৫ এর ১৫ আগস্ট পিতা-মাতা, ভাই-ভাবীসহ প্রায় পুরো পরিবার হারানোর নির্মম ব্যথা বুকে নিয়েই দেশ চালাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সম্বল এখন সাধারণ মানুষের ভালোবাসা। প্রশংসা পাচ্ছেন সফল মা হিসেবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ। মেয়ে সায়মা হোসেন কাজ করেন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি বা অটিজম আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি
/এম ই
Leave a reply