দেশে প্রতিদিন গড়ে ৭৫৯ জন মানুষ মারা যাচ্ছেন হৃদরোগে

|

ছবি: সংগৃহীত

দেশে প্রতিদিন গড়ে ৭৫৯ জন মানুষ মারা যায় হৃদরোগে। তবুও প্রান্তিক পর্যায়ে এখনো প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাই নিশ্চিত করা যায়নি। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে নেই সচেতনতা কার্যক্রমও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃদরোগের বড় কারণ ধূমপান। এছাড়াও শারীরিক পরিশ্রম না করা, অতিরিক্ত মদপান, ডায়াবেটিস এবং মানসিক চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

ভয়াবহ মহামারি কোভিড স্তব্ধ করে দেয় পুরো বিশ্বকে। সংক্রামক রোগ, করোনায় দেশে এখন পর্যন্ত গড় মৃত্যু দিনে ৩১ জন। অথচ, পরিচিত অসংক্রামক হৃদরোগের ভয়াবহতা যেন চোখের আড়ালেই রয়ে গেছে। গবেষণা বলছে, কেবল হৃদরোগে দেশে প্রতিদিন মারা যায় গড়ে ৭৫৯ জন। জেলা সদরের বাইরে নেই প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধাও।

হার্ট ফাউন্ডেশনের এপিডার্মিওলজির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, আমরা জানি হার্ট অ্যাটাক হলে যত দ্রুত চিকিৎসা পাবেন, আপনার বেঁচে ওঠার সম্ভাবনা তত বেড়ে যাবে। সেই চিকিৎসা যদি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই দিতে পারি তাহলে অনেক সুবিধা হবে।

হৃদরোগের বড় কারনগুলো জীবনাচরণের সাথে জড়িত। যা এড়ানোর জন্য ইচ্ছা শক্তিই যথেষ্ট বলে মনে করেন অভিজ্ঞরা। ধূমপান, পরিশ্রম না করা এবং খাদ্যাভ্যাসকে হৃদরোগের জন্য দায়ী করা হয়। বিশ্ব হার্ট ফেডারেশনের দাবি, এসব কারণের ৮০ ভাগই নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে বেশি।

জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, ৪০ বছরের নিচে প্রায় ২০ শতাংশ রোগী আছে যারা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে আছে। ২০ শতাংশ মানুষই অকাল মৃত্যুর কবলে পড়ছে।

বায়ুদূষণকেও হৃদরোগের জন্য দায়ী করা হয় বলে জানান গবেষকরা। নিয়ন্ত্রণে সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি রাষ্ট্রের ভুমিকাও আশা করছেন তারা।

অধ্যাপক ডা সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, মৃত্যুর ২০ শতাংশ হচ্ছে বায়ুদূষণের জন্য। অন্যান্য অভ্যাস আমরা ইচ্ছা করলে এড়িয়ে চলতে পারি কিন্তু বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া অনেক কঠিন।

হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে সৃশৃঙ্খল জীবনাচরন ও মানসিক চাপ মুক্ত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply