হাতিয়ায় দুই জলদস্যু বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলি: ৩ দস্যুর মরদেহ উদ্ধার, অস্ত্রসহ আটক ৫

|

প্রতীকী ছবি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘাসিয়ার চরে দুই জলদস্যু বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলিতে পর ঘটনাস্থল থেকে তিন দস্যুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন, ফখরুল বাহিনীর সদস্য সুবর্ণচর উপজেলার চর জিয়া উদ্দিনের আবুল হোসেন ছেলে মো. কবির হোসেন, হাতিয়ার চর খাসিয়ার আবদুল কাইউমের ছেলে মো. শাহরাজ ও রামগতি উপজেলার আবদুল্লাপুর গ্রামের আবদুলের ছেলে নবীর উদ্দীন ওরফে নূরনবী।

হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধারের পর রাতে চেয়ারম্যান ঘাটে রাখা হয়েছে। আগামীকাল সকালে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তেরর জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। এর আগে বুধবার ভোররাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জলদস্যু খোকন ও ফখরুল বাহিনীর মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ফখরুল বাহিনীর তিন সদস্য নিহত হন। আরও কয়েকজন আহত হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে আজ দুপুরে কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের মিডিয়া কর্মকর্তা শফিউল কিঞ্জল জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঘাসিয়ার চরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে জলদস্যু খোকনের বাহিনী। কিছুদিন আগে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে খোকন। তখন চরের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আরেক জলদস্যু ফখরুল ইসলামের হাতে। সম্প্রতি খোকন জামিনে বেরিয়ে পুনরায় চরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে ফখরুলের লোকজনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জেরে ভোর রাতের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন ০৩ টি অভিযানিক দল চর ঘাসিয়ায় অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় ডাকাত দল কোস্টগার্ডের উপস্থিত টের পেয়ে বিছিন্ন হয়ে নৌকাযোগে পালানোর চেষ্টা করে। কোস্টগার্ডের দ্রুতগতি সম্পন্ন বোট নিয়ে অভিযানিক দল তাদের পিছু ধাওয়া করে। একপর্যায়ে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীর চর আব্দুল্লাহ থেকে ডাকাত দলকে তিনটি এক নলা বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা গোলা, ছয়টি রামদা এবং পাঁচটি বল্লমসহ কুখ্যাত ডাকাত খোকন বাহিনীর ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply