ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টেঁটাযুদ্ধ: গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে ৬ মাসে মারা গেছে অন্তত ২৬

|

রিয়াজ রায়হান:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয় মাসে অন্তত ২৬ জন মারা গেছে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বে। আর আহতের সংখ্যা সহস্রাধিক। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে টেঁটা-বল্লম। সংঘর্ষের ঘটনাগুলোতে মামলা হয়, আবার আপোষও হয়। মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হতে পারেন না বাদী-বিবাদী, কোনোপক্ষ।

পরিসংখ্যান বলছে, গেলো বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত জেলায় সামাজিক সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে ৩৮টি। এরমধ্যে কেবল সরাই উপজেলায় ঘটেছে ১৭টি ঘটনা। এসব ঘটনায়-ই মারা যান ২৬ জন্য। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশও।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, যখন পুলিশ আক্রান্ত হয় কিংবা দুই পক্ষকে থামাতে গিয়ে অস্ত্রগুলো ব্যবহার করায় পুলিশ বাদী হয়ে উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করলে তারা থেমে যায়।

টেঁটা-বল্লম যুদ্ধের ঘটনায় যেসব মামলা হয়, সেগুলোর ভবিষ্যতও খুব একটা সুবিধের নয়। একেতো তদন্তের ধীরগতি, অপরদিকে সাক্ষীর অভাবে বিচার কাজ ঝুলতে থাকে বছরের পর বছর।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ তানভীর হোসেন কাউসার বলেন, মামলাগুলোতে কিছু দোষী-নিদোর্ষ ব্যক্তিও থাকেন। তখন মামলাগুলো প্রমাণ করার মতো সাক্ষ্য-প্রমাণ আসে না। না আসার পেছনের কারণ হলো, দীর্ঘদিন পর সাক্ষীর জন্য আসে।

মামলা নিয়ে একটি চক্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বাণিজ্যের অভিযোগও আছে জেলাটিতে।

জেলা সদর হাসপাতালে এখনও যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন আহতদের কয়েকজন। সাম্প্রতিক সংঘাতের বলি হয়েছেন তারা। জানালেন, একেবারে তুচ্ছ ঘটনায় তাদের ওপর হামলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এক সময় সরাইলের কামারপাড়ার বিভিন্ন দোকানে টেঁটা-বল্লম তৈরি করতো স্থানীয়রা। প্রশাসন তৎপর থাকায় এখন অবশ্য বন্ধ হয়েছে সেসব তৈরি।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply