হাইমার্স মাল্টিপল রকেট সিস্টেম কিংবা জ্যাভেলিন অ্যান্টি ট্যাংক মিসাইলের মতো অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র কিংবা শত শত কোটি ডলারের তহবিল পশ্চিমের সব সহায়তাই আপাতদৃষ্টিতে ব্যর্থ। জাপোরিঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক এবং দোনেৎস্কের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার হাতে।
ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ার সাথে সংযুক্তি ইস্যুতে যখন উৎসব চলছে রেড স্কয়ারে, তখন ক্ষোভ আর নিন্দার ঝড় পশ্চিমা দেশগুলোতে। গায়ের জোরে অঞ্চলগুলো দখলে নিতে গণভোটের নাটক করেছে মস্কো, এমন অভিযোগ মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
বাইডেন বলেছেন, মস্কোর এই পদক্ষেপ নির্লজ্জ আচরণের মতো। গণভোটের নামে নাটক সাজিয়েছে ক্রেমলিন। ভোটে সাধারণ মানুষের রায়ের কোনো প্রতিফলন নেই, ফলাফল পুরোটাই সাজানো। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের কোনো অঞ্চলকে এভাবে দখল করার এখতিয়ার রাশিয়ার নেই। ওয়াশিংটনের কাছে এই চার অঞ্চল সব সময়ই ইউক্রেনের অংশ হিসেবেই বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার সাথে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিলেন পুতিন
ইউক্রেনের অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররাও স্পষ্ট করেছে, রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তিকে কখনো স্বীকৃতি দেয়া হবে না। আর জাতিসংঘ বলছে, আইন অনুযায়ী কখনোই এই চার অঞ্চল রাশিয়ার বলে বিবেচিত হবে না।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, রাশিয়ার এই পদক্ষেপ পুরোপুরি অবৈধ। একটি রাষ্ট্র কোনোভাবেই আরেকটি রাষ্ট্র্রের অঞ্চলকে দখলে রাখতে পারে না। কিংবা এভাবে সংযুক্ত করতে পারে না। তাই মস্কোর এই পদক্ষেপকে কখনোই স্বীকৃতি দেবে না জাতিসংঘ।
লড়াইয়ের ময়দানে মস্কোকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে, অবশেষে, পুতিনকে ঠেকাতে রুশ জনগনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেছেন, বিশ্বের সবাই জানেন অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে আসলে কী ঘটে। ক্রেমলিন যা প্রত্যাশা করছে, বিষয়টি তা নয়। দখলদাররা অঞ্চলগুলোর অর্থনীতি, সামাজিক বলয়, সংস্কৃতি সব ধ্বংস করে দিবে। মাত্র একজন মানুষের ইচ্ছা পূরণের জন্যেই চলছে দীর্ঘ যুদ্ধ। যাতে, ধ্বংসের পথে স্বাভাবিক অর্থনীতি, জীবন ব্যবস্থা। নেই মানুষের জীবনের ন্যূনতম মূল্যেও। একমাত্র রুশরাই থামাতে পারে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। তার কাছে নাগরিকদের জীবন থেকে যুদ্ধ বড়।
পশ্চিমা বিশ্বের হুঁশিয়ারি, দোনেৎস্ক, লুহানস্কের অন্তর্ভুক্তির প্রতিক্রিয়ায় আরও এক দফা অবরোধ দেয়া হবে রাশিয়ার ওপর।
জেডআই/
Leave a reply