মেসির বিরুদ্ধে ৩ মাসে দেড় হাজার টন কার্বন নিঃসরণের অভিযোগ!

|

গেল তিন মাসে লিওনেল মেসি যে পরিমাণ পরিবেশ দূষণ করেছেন, একজন ফরাসি নাগরিক নাকি ১৫০ বছরেও সেই পরিমাণ পরিবেশ দূষণ করে না। গত তিন মাসে ৫২ বার ব্যবহৃত হয়েছে তার ব্যক্তিগত বিমান। পরিবেশ সচেতনতা ওয়েবসাইট লে’কিপের এক গবেষণায় এমনটাই উঠে এসেছে। আর এতে করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন মেসিসহ পিএসজির ফুটবলাররা।

ফুটবল খেলোয়াড়দের এখন ঘুম কেড়ে নিয়েছে পরিবেশ সচেতনতা কর্মীরা। খেলোয়াড়দের লাইফস্টাইল নিয়ে রীতিমত ঝড় তুলছে তারা। কোন খেলোয়াড় কতটুকু কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে পরিবেশের কতটা ক্ষতি করছেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে গবেষণা। পিএসজি খেলোয়াড়দের অনেকেরই তোপের মুখে পড়তে হয়েছে এইসব পরিবেশ সচেতনতা কর্মীদের। যেই তোপ থেকে পিএসজি ফরোয়ার্ড ও আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসিও বাঁচতে পারেননি।

কাছাকাছি অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোতে যাওয়ার জন্য খেলোয়াড়দের গণপরিবহন ব্যবহারের ভাবনা আছে কিনা, এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল পিএসজি কোচ ক্রিস্তোফ গালতিয়ের ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। রসিকতা করে গালতিয়ের উত্তর দিলেও হেসে খুন হচ্ছিলেন এমবাপ্পে। ক্রিস্তোফ গালতিয়ের বলেন, আসলে আমি আমাদের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি এই ব্যাপারটা নিয়ে। আমরা কীভাবে প্রকৃতিবান্ধব বাহন ব্যবহার করতে পারি যেটিতে কোনো জ্বালানি লাগে না, অথবা কম লাগে- সেটি যদি কম দূরত্বের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় তবে দারুণ হবে।

২ ঘণ্টার দূরত্বেও খেলোয়াড়রা নিজেদের ব্যক্তিগত বিমান ব্যবহার করে থাকেন। সম্প্রতি লে’কিপের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গত তিন মাসে লিওনেল মেসির ব্যক্তিগত বিমানটি প্রায় ৫২ বার ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে ১ হাজার ৫০২ টন কার্বন নিঃসরণ হয়েছে। মেসির কার্বন ফুটপ্রিন্ট সাধারণ মানুষের সাথে তুলনা করে দেখা গেছে, এই তিন মাসে মেসি যেই পরিমাণ পরিবেশ দূষণ করেছেন একজন ফরাসি ১৫০ বছরেও সেই পরিমাণ পরিবেশ দূষণ করতে পারে না।

আরও পড়ুন: মেসি-এমবাপ্পের গোলে নিসের বিপক্ষে পিএসজির জয়

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply