হোসাইন শাহীদ:
শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের সুতিকাগার বলা হয় বৃহত্তর ময়মনসিংহকে। ময়মনসিংহ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শিল্প-সংস্কৃতির পরিবর্তে চলছে দুর্নীতির চর্চা। একের পর এক ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেলেও কোনোভাবেই মিলছিল না তথ্যপ্রমাণ। অবশেষে নিতে হয়, তথ্য অধিকার আইনের আশ্রয়। সব প্রক্রিয়া শেষ করে তথ্য হাতে পেতে সময় লাগে ছয় মাস। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করতে বেরিয়ে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ।
ওস্তাদ সুনীল কর্মকার বলেন, সংস্কৃতিকর্মীরা তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু সরকারই দায়িত্বশীল আচরণ করছে না। প্রবীণ এই শিল্পীর হতাশার সূত্র ধরে আমরা সরকার থেকে বরাদ্দের হিসাব চাই জেলা শিল্পকলার কাছে। কিন্তু তা না পেয়ে গত ১৫ মার্চ তথ্য অধিকার আইনের আশ্রয় নেয়া হয়। পাওয়া যায় তথ্য। তাতে দেখা যায় গত বছরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ২৫টি নতুন গান রেকর্ডের নথিতে সুরকার আবদুন নঈম নিজে স্বাক্ষর করে টাকা তুলেছেন। তবে স্বজনরা জানান, আবদুন নঈম ২০০৪ সালেই মারা গিয়েছেন।
অন্য একটি ভাউচার বলছে, একটি দোকান থেকে কেনা হয়েছে ৬ হাজার টাকার বনরুটি আর লাড্ডু। কিন্তু আদতে বইখাতার ওই দোকানে কোনো খাবার বিক্রি হয় না বলে দাবি করলেন দোকানদার।
এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলার সংস্কৃতিক অঙ্গনের মানুষ। অনিয়মে অভিযুক্ত কালচারাল অফিসার হামিদুর রহমান বর্তমানে ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চাকরিরত আছেন। যমুনা টেলিভিশনের পরিচয়ে ফোন করলে তিনি ফোন কেটে দেন।
বিষয়টি নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন তারা। তারপর যথানিয়মে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
/এডব্লিউ
Leave a reply