আর্জেন্টিনায় বোকা জুনিয়র্স ও জিমনেসিয়ার ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে অন্তত ১ জন। আর দেড় শতাধিক আহতের খবর পাওয়া গেছে। খবরটি প্রকাশ করেছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
বুয়েনস আইরেস থেকে ৫০ কিমি দূরের লা প্লাটা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল বোকা ও জিমনেসিয়া। শিরোপা নির্ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ দেখতে জিমনেসিয়ার মাঠে ঢুকতে পারছিলেন না তাদেরই সমর্থকরা। কারণ, বোকা জুনিয়র্সের সমর্থকরাই গ্যালারির অধিকাংশ জায়গা দখল করে রেখেছিল।
অন্যদিকে, জিমনেসিয়ার সমর্থকরা ভিড় জমিয়েছিলেন মাঠের বাইরে। কিন্তু পুলিশ অতিরিক্ত দর্শককে ঢুকতে দেয়নি স্টেডিয়ামে। পুলিশ সমর্থকদের বাধা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেধে যায় সংঘর্ষ। এরপর পুলিশ রবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে থাকে। ততক্ষণে স্টেডিয়ামের ভেতরেও উন্মত্ত সমর্থকদের থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে থাকে পুলিশ। ধোঁয়ায় রেফারি হারনান মাস্ত্রাঙ্গেলো খেলা বন্ধ করে দেন।
ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে ঘটা সংঘর্ষে ১৩১ জন মানুষের নিহত হওয়ার কেবল এক সপ্তাহ পরেই আর্জেন্টিনায় এই ঘটনাটি ঘটলো। বুয়েনস আইরেসের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী সার্জিও বার্নি স্থানীয় গণমাধ্যম টোডো নোটিসিয়াসকে জানান, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে একজনের মৃত্যু ঘটেছে।
নিহতের ব্যাপারে আর কোনো তথ্যই দেননি বার্নি। অন্যদিকে, আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এক টুইট বার্তা জানিয়েছে, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর কখনও না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। অন্যদিকে, কয়েকজন সমর্থক জানিয়েছেন, ম্যাচটিকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় টিকিট বিক্রি হয়েছে আসনসংখ্যার চেয়েও বেশি। সমর্থকেরা গ্যালারিতে প্রবেশ করতে না পারায় উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল।
এদিকে, ভাইরাল হওয়া এই ঘটনার এক ভিডিওতে দেখা গেছে, কাঁদানে গ্যাসের হাত থেকে বাঁচতে অনেক সমর্থক মাঠে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। তার মধ্যে ছিল খুদে সমর্থকরাও। ফুটবলাররা সাজঘরে ফিরে যাওয়ার আগেই মাঠের মধ্যে দর্শকরা ঢুকে পড়েন। জিমনেসিয়ার ফুটবলার লিয়োনার্দো মোরালেস বলেছেন, আমার দু-বছরের ছেলে শ্বাস নিতে পারছিল না। যারা দর্শকের আসনে ছিল তাদের জন্য চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। একটা ফুটবল ম্যাচ খেলতে এসে দেখছি আত্মীয়রা মৃত্যুর মুখে, এটা দেখতে কার ভালো লাগে?
আরও পড়ুন: রক্ত মাংসের মানুষ না, বরং রোবট- এই কারণে হাল্যান্ডের নামে পিটিশন!
/এম ই
Leave a reply