চীনময় এক বিশ্বকাপ! প্রশ্ন জাগতে পারে চীনের কথা আসছে কীভাবে? তারা না বিশ্বকাপে খেলছে, না আয়োজক। তাহলে? ঘটনা হলো রাশিয়া বিশ্বকাপে ১৯টি আর্থিক পৃষ্ঠপোষকের মধ্যে ৭টি চীনা কোম্পানি। অথচ, ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপেও চীনা পৃষ্ঠপোষকের সংখ্যা ছিল একটি। মাত্র ৪ বছরের মাথায় বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে চীনা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ এত ফুলে ফেঁপে ওঠাটা বিস্ময়করই বটে।
অথচ, বিশ্ব ফুটবলে চীনের উপস্থিতি বেশ দুর্বলই। সেই কবে ২০০২ সালে কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে খেলেছিল চীন। সেবার বলার মতো কোনো প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারেনি তারা। তবে, সম্প্রতি ঘরোয়া প্রিমিয়ার লিগে টাকার ছড়াছড়ির কারণে আলোচনায় আসে চীন।
২০১৫ সালে দুর্নীতি ইস্যুতে ঝড় ওঠে ফিফায়। সংস্থাটির পে্রসিডেন্ট সেপ ব্ল্যাটারসহ বেশ কিছু শীর্ষ কর্মকর্তাকে বহিষ্কৃত হতে হয়। এ ঘটনায় ফিফার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে এমিরেটস, কন্টিনেন্টাল, জনসন অ্যান্ড জনসন, সনির মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো। বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে ফিফা।
২০১৮ বিশ্বকাপে ১৯টি প্রতিষ্ঠান ফিফার পৃষ্ঠপোষক হয়েছে। সেখানে ৭টি প্রতিষ্ঠানই চীনের। এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন স্বয়ং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং! উদ্দেশ্য- ফিফার সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি। এটিকে কাজে লাগিয়ে চীনে বিশ্বকাপ আয়োজনের ইচ্ছা জিনপিংয়ের।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply