অ্যাকশন কিংয়ের প্রয়াণ দিবস আজ

|

আবুল খায়ের জসিম উদ্দিন (১৯৫০-১৯৯৮)

সিনেমায় যেমন তাকে ভিলেনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে দেখা যেতো, বাস্তবেও তিনি ছিলেন যোদ্ধা। বলছিলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তি সেনা জসিমের কথা। আজ তার ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী।

১৯৫০ সালের ১৪ আগস্ট ঢাকার নবাবগঞ্জে জন্ম জসিমের। পারিবারিক নাম আব্দুল খায়ের জসিম উদ্দিন। যুবক জসিম ২০ বছর বয়সে পা রাখতেই দেখেছেন দেশের মাটিতে পাক বাহিনীর বর্বরতা। কাল বিলম্ব না করে মা ও মাটিকে রক্ষা করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। মেজর হায়দারের নেতৃত্বে দুই নম্বর সেক্টরে অংশ নিয়ে হানাদারদের মোকাবেলা করেন জসিম। যুদ্ধ শেষে বিজয়ী বীরের বেশে আবার নেমে পড়েন জীবনযুদ্ধে, অভিনয়ের মঞ্চে।

জসিমের সিনেমাটিক লুক তাকে রুপালী পর্দায় সুযোগ করে দেয়। চলচ্চিত্রের শুরুটা খলনায়ক হিসেবে; আর প্রথম ছবি ‘দোস্ত দুশমন’ যা মুক্তি পায় ১৯৭৩ সালে। ছবিটি হিন্দি সুপারহিট ছবি ‘শোলে’রিমেক ছিল। ওই ছবিতে জসিমের ‘গাব্বার সিং’ চরিত্রটি দর্শক লুফে নেয়। এরপর খলনায়ক হিসেবে রংবাজ, রাজ দুলারী, দোস্ত দুশমন, তুফান, জবাব, নাগ নাগিনী, বদলা, বারুদ-এর মতো বহু ছবিতে অভিনয় করেন জসিম। এসব ছবিতে জসিমের অ্যাকশনের ধারা বাংলা চলচ্চিত্রে ‘ট্রেডমার্ক’ হয়ে দাঁড়ায়।

এক সময় খলনায়কের খোলস ছেড়ে নায়ক হিসবে আত্মপ্রকাশ করেন জসিম। সেখানেও সফল তিনি। ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সবুজ সাথী’ ছবির মাধ্যমে নায়ক হিসেবে অভিনয়ের শুরু। এরপর একে একে পরিবার, রাজা বাবু, বুকের ধন, স্বামী কেন আসামি, লাল গোলাপ, দাগী, টাইগার, হাবিলদার এর মতো শতশত ছবিতে নায়ক হিসেবে বাজিমাত করেছেন কিংবদন্তি এই অভিনেতা।

আজ থেকে ঠিক ২৪ বছর আগে ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে পৃথিবীকে চির বিদায় জানান জসিম। আমাদের অ্যাকশন কিং বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের জসিমউদ্দিনের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকীকে রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply