প্রাচুর্য, সৌন্দর্য, সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি ও ঐশ্বর্যের দেবী লক্ষ্মীর পূজাও আজ। শারদীয় দুর্গোৎসবের পর হিন্দুদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব লক্ষ্মীপূজা।
হিন্দু পুরাণ মতে, বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল রাত আশ্বিনের পূর্ণিমা তিথিতে ধনসম্পদ, প্রাচুর্য, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মী বিষ্ণুলোক থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন পূজা গ্রহণ করতে। লক্ষ্মী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে।
বাংলার হিন্দু সম্প্রদায় ঘরে ঘরে এই পূজার আয়োজন করে থাকে। তবে আজিমপুর, লালবাগের অনেক বাসিন্দা ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান পূজা দিতে। তেমনি ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠসহ বিভিন্ন মন্দির ও পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজার, তাঁতীবাজার, সূত্রাপুর, ফরাশগঞ্জ, লক্ষ্মীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করা হয়।
দেবী লক্ষ্মীকে নিয়ে বাংলার জনসমাজে বিভিন্ন জনপ্রিয় গল্প প্রচলিত আছে। গল্পগুলো পাঁচালীর আকারে লক্ষ্মীপূজার দিন পাঠ করা হয়। একে লক্ষ্মীর পাঁচালী বলা হয়। লক্ষ্মীপূজায় মঙ্গলঘট, ধানের ছড়ার সঙ্গে গৃহস্থের আঙিনায় শোভা পায় চালের গুঁড়ার আল্পনায় লক্ষ্মীর ছাপ। এ উপলক্ষ্যে গৃহস্থ নারীরা উপবাসব্রত করেন।
/এডব্লিউ
Leave a reply