দেশের অন্যতম দরিদ্র জেলা কুড়িগ্রামে দিন দিন বেকারত্বের হার বাড়ছে। শিল্প কারখানা না থাকায় নতুন করে কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। বন্ধ হয়ে যাওয়া কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল এবং স্পিনিং মিলের বেকার শ্রমিকদের অনেকে এখনো দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন হলেন কুড়িগ্রাম পৌরসভার বাসিন্দা মোনায়েম। বন্ধ হয়ে যাওয়া কুড়িগ্রাম সরকারি টেক্সটাইল মিলে শ্রমিক হিসেবে দীর্ঘ ২৪ বছর কাজ করেছেন তিনি। ২০১১ সালে বেকার হয়ে পড়ায় অভাব-অনটনের মধ্যে পড়েন মোনায়েম। এখন চায়ের দোকানে কাজ করছেন তিনি।
মোনায়েম কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে পারলেও মিলটির অনেক বেকার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়নি। এক সময় এই মিলটিকে ঘিরে সচল ছিল এই এলাকার ব্যবসা বাণিজ্য। এছাড়া ২০১৮ সালে বন্ধ হয়ে যায় কুড়িগ্রাম স্পিনিং মিল। এতে দীর্ঘ হয় বেকার শ্রমিকের তালিকা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুর্নীতির কারণে লোকসানের অযুহাত দেখিয়ে সরকারি মিলটি বন্ধ করা দেয়া হয়েছে। মিলের মূল্যবান যন্ত্রপাতি, গোপনে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে বলেও ক্ষোভ জানান তারা। বলেন, লোকসান দেখিয়ে সরকার কারখানা বন্ধ করে দেয়। এরপরই এই এলাকায় অন্ধকার নেমে আসে। জীবিকার তাগিদে অনেকেই রাজধানীর দিকে ছুটেছেন। এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্যও হয় না বলে জানান তারা। এ অবস্থায় কারখানা আবারও চালু করার দাবি জানান স্থানীয়রা।
এদিকে, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মিলটি চালুর উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি। বললেন, কাজের সুযোগ তৈরির চেষ্টা চলছে। এই জেলায় নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
এসজেড/
Leave a reply