লোডশেডিং ও জনজীবনে প্রভাব বিবেচনা করে আপাতত বাড়ছে না বিদ্যুতের দাম। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এবং বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের দিক থেকেও কোনো জোরালো চাহিদা না থাকায় আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিইআরসি।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বিইআরসি এক জরুরি বৈঠক করে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র এমন তথ্য জানিয়েছে। তারা জানান, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পর্যালোচনায় তারা বর্তমান উৎপাদন পরিস্থিতি বিবেচনা করেছেন। কমিশনের মনে হয়েছে আপাতত বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির খুব একটা প্রয়োজন নেই। যদি সিদ্ধান্তে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন না ঘটে তাহলে বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো ঘোষণা দেয়া হবে না।
বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্র জানিয়েছে, আরও অপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত দেওয়া গেলে সুবিধাজনক হতো। কিন্তু বিইআরসি আইন অনুযায়ী গণশুনানির পর ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে আদেশ দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ১৮ মে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়, সে হিসেবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সিদ্ধান্ত দেয়ার জন্য সময় রয়েছে বিইআরসির।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যয়বহুল ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা, স্পর্ট মার্কেট থেকে চড়া দামের এলএনজি আমদানি না করায় বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়েছে কমিশন।
এছাড়া সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা ও জনজীবনে চাপ কমানোর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হলে আবারও মূল্যস্ফীতি ঘটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে এখনি বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্তের দিকেই যাচ্ছে বিইআরসি, এটি অনেকটাই নিশ্চিত।
Leave a reply