ফেনীতে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, ফেনী:

পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় ফেনীর দাগনভূঞার এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ ওসমান হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর গ্রামের মৃত হাজী আলতাফ আলীর ছেলে।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ সকাল ৯টার দিকে আসামি মো. আবদুল করিম খান বাহাদুর ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসতে বলেন। বিদ্যালয়ে তখন আর কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছিল না। এ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে একা একটি শ্রেণিকক্ষে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষক। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য শিক্ষক ওই ছাত্রীকে নানা হুমকি দেন। ওই দিনের পর ওই শিক্ষক আরও কয়েকবার ওই ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।

কিছুদিন পর ওই শিক্ষকের চাপ ও হুমকি সইতে না পেরে নির্যাতনের শিকার ছাত্রী ঘটনা তার পরিবারকে জানায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল করিম খান বাহাদুরকে আসামি করে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন।

দাগনভূঞা থানার এসআই মো. মোবারক হোসেন মামলাটি তদন্ত শেষে একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় বাদীসহ মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

আদালতের পিপি হাফেজ আহম্মদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবদুল করিম খান বাহাদুর উপজেলার খুশিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply