পথশিশুদের বিশ্বকাপ

|

ছবি: সংগৃহীত

চতুর্থবারের মতো শুরু হয়েছে পথশিশুদের বিশ্বকাপ। এবারের আয়োজক কাতার। বাংলাদেশের পাশাপাশি এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে বিশ্বের ২৪টি দেশ। স্ট্রিট চাইল্ড নামক এই প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে নতুন করে স্বপ্ন দেখছে সুবিধা বঞ্চিত এই পথশিশুরা।

আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপে নেই বাংলাদেশ। না থাকার সেই আক্ষেপটা কিছুটা হলেও কমিয়েছে বাংলাদেশের পথশিশুরা। ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ২৫টি দেশ।

স্ট্রিট চাইল্ড ইউনাইটেড’র সহ প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জন রো বলেন, ফুটবল আমাদের একত্রিত করে। এই পথশিশুরা যখন দেশে ফিরে যায়, তখন সবাই তাদের কথা শোনে এবং তা প্রাধান্য দেয়। পথশিশুরা নিজেদের পরিচয়ে বাঁচতে শেখে। তাদের মাধ্যমে দেশ হয় গর্বিত। এটি শুধুমাত্র একটি খেলা নয় । এটি আনন্দ ও শান্তির বিশ্বকাপ।

এবারের আসরে ১৫টি পুরুষ দল ও ১৩টি নারী দল রয়েছে। এদের মধ্যে মোট ১০টি দলকে বাস্তচূত হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করা হচ্ছে। নারীদের ১৩ দলের মধ্যে ২টি দলের খেলোয়াড়রা সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে অংশ নিয়েছে।

ফিলিস্তিনি নারী দলের প্রতিনিধিত্বকারী মেয়েসুন নাকলাহ বলেন, মেয়েদের এখানে আসার অভিজ্ঞতাটা সুন্দর ছিল। প্রথমবারের মতো তারা তুলকারাম শরণার্থী শিবির ত্যাগ করে বিশ্বমঞ্চে এসেছে। অনেকেই আছে যারা তাদের শহরের বাইরে কোথাও যায় নি। মেয়েদের কাছে সবটাই নতুন এবং রোমাঞ্চকর।

ঐতিহ্যগতভাবে যেই দেশ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করে সেই দেশেই অনুষ্ঠিত হয় পথশিশুদের বিশ্বকাপ।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply