ইভিএম কিনলে কাটছাঁট হতে পারে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দ, ভাবাচ্ছে বিশ্লেষকদের

|

সাংবিধানিক দায়িত্ব থেকেই ইভিএম কেনার প্রকল্প অনুমোদন দিতে চায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। তবে এর ব্যয় নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে অর্থ বিভাগ। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানালেন, নতুন ইভিএম কিনলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মত খাত থেকে বরাদ্দ কাটছাঁট হতে পারে। তবে এ মন্তব্য ভাবাচ্ছে বিশ্লেষকদের। তারা বলছেন, চলমান অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে সরকারকে সাবধান হতে হবে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয় গত সেপ্টেম্বরে। সে জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে একনেক অনুমোদনের জন্যও। কিন্তু এ ইস্যুতে সভা আহ্বান করেও পরে তা বাতিল করে পরিকল্পনা বিভাগ। তাই এখনও ঝুলে আছে নতুন ২ লাখ ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত।

প্রকল্প প্রস্তাবে প্রতিটি যন্ত্রের দাম ধরা হয়েছে ৩ লাখ টাকা। এর সাথে যুক্ত হবে ভ্যাট ও অন্যান্য শুল্ক। ইভিএম সংরক্ষণের জন্য ১০টি অঞ্চলে থাকবে আলাদা ওয়্যারহাউজ। এসব পরিবহনের জন্য প্রতিটি থানা ও উপজেলা অফিসে গাড়ি কেনার টাকাও ধরা হয়েছে। অর্থ ব্যয় হবে ইভিএম ব্যবস্থাপনা ও জনবল প্রশিক্ষণেও।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানালেন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব থেকেই ইভিএম প্রকল্প অনুমোদনে বাধ্য সরকার। তবে প্রকল্পের ব্যয়সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।

এর ফলে চলমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় ইভিএম কিনতে কিছুটা চাপে পড়বে সরকার। তাই ইসির প্রস্তাব নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি অর্থ বিভাগ। অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলছেন, ইভিএম কেনার প্রকল্প অনুমোদনের আগে অনেক দিক মাথায় রাখতে হবে সরকারকে।

এদিকে ইভিএমের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে ১২টি দল। তারা নতুন এই ভোটিং ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। তবে ১৭টি রাজনৈতিক দল ইভিএমের পক্ষে আছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply