স্টাফ রিপোর্টার, যশোর:
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের
মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৬ অক্টোবর) যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। উক্ত ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সদস্য শিহাব উদ্দিন সরকারকে মারধর করে তার মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কদম তলায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সালের অনুসারী সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম হৃদয় ও ছাত্রলীগ কর্মী জিসান আহমেদ অস্ত্র দিয়ে সভাপতি সোহেল রানার অনুসারীদের ধাওয়া করে। এরপর কদমতলা থেকে তানভীর ফয়সালের অনুসারীরা শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে এসে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৮টায় সভাপতি সোহেল রানার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা হলে প্রবেশ করলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এই বিষয়ে যবিপ্রবির প্রক্টর ড. হাসান আল ইমরান বলেন, আমি হলের ভিতর সাংবাদিকের ওপর আক্রমণের বিষয়ে জানতে পেরেছি। হল প্রভোস্ট ইতোমধ্যে মিটিং করে হলের মধ্যে রেট দিয়েছেন। আমি আহত সাংবাদিককে দেখেছি ও চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তাকে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে যা অত্যন্ত ন্যাক্কাররজনক ঘটনা। গত চার বছরে যবিপ্রবিতে এমন আক্রমণাত্মক ঘঠনা ঘঠেনি। সেখানে সাংবাদিকদের ওপরে হামলা ঘটনা নিন্দনীয়। এই ঘটনায় জড়িতদের আমরা অতিদ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আয়তায় আনব।
এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সভাপতি- সম্পাদকের কর্মীদের কোন্দলে সংগঠিত ঘটনা এবং দায়িত্বরত সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। ক্যাম্পাসে কোনো অস্ত্রের রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। খুব দ্রুতই কমিটি গঠন করা হবে এবং দোষীদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর হামলায় আহত সাংবাদিককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সহায়তা করা হবে।
/এনএএস
Leave a reply