শত্রুপক্ষকে টুকরো-টুকরো করাই লক্ষ্য, মুখ খুললেন ‘নৃশংস’ কমান্ডার

|

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার কাছে হারানো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল খেরসন পুনরুদ্ধারে মরিয়া ইউক্রেন। ফলে, পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে। আর, বড় কোনো হামলা নয় বরং, শত্রুপক্ষকে কৌশলে টুকরো-টুকরো করাই লক্ষ্য।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) প্রথমবার কোনো মন্তব্য করলেন সামরিক অভিযানের কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন। যুদ্ধকালীন এক ‘নৃশংস’ কমান্ডার হিসেবেই ভ্লাদিমির পুতিন তাকে নিয়োগ দিয়েছেন ইউক্রেনে, এমনটি জানিয়েছে বিবিসি।

গেলো সপ্তাহেই, তাকে ইউক্রেনীয় রণক্ষেত্রে নিয়োগ দেয় রাশিয়া। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন বলেন, খেরসনের পরিস্থিতি গুরুতর। সেখানকার বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরাতে হবে। তিনি আরও জানান, ইউক্রেনীয় সেনারা হাইমার্স রকেট ব্যবহার করছে খেরসনে। এগুলোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আন্তোনিভস্কি ব্রিজ এবং কাখোভকা জলবিদ্যুৎ বাঁধ। যার কারণে, শহরের মূলকেন্দ্রে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। খাদ্য সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে না।

জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন। ছবি: সংগৃহীত

রুশ কমান্ডার জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিন বলেন, রাশিয়া বড় ধরনের হামলা চালিয়ে সব দখল করতে চায় না। কারণ, প্রত্যেকটি সেনার জীবনের মূল্য বুঝি আমরা। বরং, শত্রুপক্ষকে কৌশলে টুকরো-টুকরো করাই লক্ষ্য। এর ফলে, নিজেদের এবং বেসামরিক প্রাণহানি কমানো সম্ভব। তবে, খেরসন পুনরুদ্ধারের দিকে মনোযোগ দিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যার ফলে, জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর প্রথম দিকে খেরসনের নিয়ন্ত্রণ হারায় কিয়েভ। তবে, সপ্তাহখানেক ধরে পাল্টা হামলা চালিয়ে বেশকিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: পারমাণবিক হামলার শঙ্কা: ইউরোপজুড়ে বাড়ছে আয়োডিন পিলের চাহিদা

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply