নাটোরের সিংড়ার ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ সিরাজগঞ্জে উদ্ধার

|

সিনিয়র রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ:

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার পাটধারী এলাকার হাটিকুমরুল-নগরবাড়ি রাস্তার পাশ থেকে এক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে সলঙ্গা থানা পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকারীরা রাতের কোনো এক সময় ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে এলাকার লোকজন লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত ইউপি সদস্য মো. ফরিদুল ইসলাম আকন্দ নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও খোকা আকন্দের ছেলে।

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, নাটোরের সিংড়ার সুকাশ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের এলাকায় দুটি হত্যার ঘটনা ঘটে। একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন ফরিদুল ইমলাম। হত্যা মামলা আসামি হওয়ায় দীর্ঘদিন পলাতক ছিল ফরিদুল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করলে নিশ্চিত জানা যাবে। এ ঘটনায় পিবিআই ও সিআইডি আলাদা আলাদা তদন্ত করছে।

নাটোর সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আফতাব আলীর সঙ্গে বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ৯ সেপ্টেম্বর রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রথমে আফতাব গ্রুপের সমর্থকরা বামিহাল দশোপাড়া গ্রামে ফরিদুল সমর্থক রুহুল আমিনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় রুহুল আমিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে ফরিদুল সমর্থকরা আফতাব ও তার সমর্থক কালামের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক আফতার আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে রুহুল আমিন, কালামসহ তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকালে রুহুল আমিন মারা যায়। পরে নিহত দুই পরিবারের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি দুটি মামলায় ৬২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তারপর থেকেই আফতাব হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম পলাতক ছিলেন। আজ সকালে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার পুলিশ মো. ফরিদুল ইসলাম আকন্দের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে বলে জানতে পেরেছি।

উল্লেখ্য, নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল দশোপাড়া গ্রামে দেড় যুগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১২ জন খুন হয়েছেন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply