সম্প্রতি ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের ক্রুজ মাদক মামলার তদন্তে বেশ কিছু ‘অনিয়ম’ ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে, আরিয়ানের মামলা তদন্তকারী ৭-৮ কর্মকর্তার আচরণও সন্দেহজনক ছিল- বলে উঠে এসেছে এনসিবির শৃঙ্খলা বিভাগের তদন্তে।
এর আগে, গত বছরের ২ অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরি থেকে আটক করা হয়েছিল শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে। পরদিনই তাকে গ্রেফতার করে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)।
আলোচিত সেই ঘটনায় এনসিবির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। এবার খোদ এনসিবির শৃঙ্খলা বিভাগের তদন্তে উঠে এসেছে, আরিয়ানের মামলা তদন্তকারী সাত থেকে আট কর্মকর্তার আচরণ ছিল সন্দেহজনক।
এ মামলায় ৩ সপ্তাহেরও বেশি সময় হাজতে কাটাতে হয় আরিয়ানকে। যদিও গ্রেফতারের ৮ মাস পর তাকে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। তখন এনসিবি স্বীকারও করেছিল যে, আরিয়ান এবং অন্য ৫ জনের বিরুদ্ধে ‘পর্যাপ্ত প্রমাণ’ খুঁজে পায়নি তারা।
তদন্তের অংশ হিসেবে ৬৫ জনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। কেউ কেউ ৩-৪ বার তাদের বক্তব্য পরিবর্তন করেন। তদন্তে আরও কিছু মামলার তদন্তে ত্রুটি-বিচ্যুতির তথ্য উন্মোচিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও আলোচিত এ মামলায়, এনসিবির ৭-৮ জন কর্মকর্তার ভূমিকা সন্দেহজনক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এনসিবির বাইরে যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অনুমতিও চাওয়া হয়েছে।
/এসএইচ
Leave a reply