‘যদি-কিন্তু’র আফসোস নেদারল্যান্ডসও করতে পারে

|

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস- এই দুই দলের মাঝে পার্থক্য আসলে কী ছিল? হয়তো এর উত্তর তাসকিন ও হাসান মাহমুদের বোলিং; কিংবা আফিফ-মোসাদ্দেকের ব্যাটিং। আলোচনায় আসতে পারে ম্যাক্স ও’ডৌড ও টম কুপারের রান আউট। তবে যাই হোক না কেন, এসবের সাথে ফিল্ডিং ও বোলিং মিলিয়ে দুই ইনিংসে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনায় এটা পরিষ্কার; মাত্র ৯ রান দূরে থেকে হারার পর ডাচদের সামনে আছে ‘যদি’ ‘কিন্তু’র আফসোসের সুযোগ।

তাসকিন আহমেদের তোপের পর টানা দুই রান আউটে ১৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় নেদারল্যান্ডস। তারপর স্কট এডওয়ার্ডসকে সাথে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন কলিন আকারম্যান। ডাচ অধিনায়ক স্কটও ফিরে গেলে সহজ জয়ের সম্ভাবনাই জাগিয়ে তোলে নেদারল্যান্ডস। তবে খেলা ছেড়ে দেননি আকারম্যান। অনেকটা একাই চালিয়ে গেছেন লড়াই। খেলেছেন ৬২ রানের দারুণ এক ইনিংস। নিঃসঙ্গ এই শেরপাও বিদায় নেন ১৭-তম ওভারের শেষ বলে। তবে শেষ ব্যাটার পল ভ্যান মিকরেনের ১৪ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে জয়ের খুব কাছেই চলে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। ডাচরা তাই আফসোস করতেই পারে, আকারম্যান যদি আর কিছুক্ষণ ক্রিজে থাকতেন!

ম্যাচ হেরে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের দারুণ ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি নিজেদের ফিল্ডিং ব্যর্থতাকেও দুষতে পারে নেদারল্যান্ডস। ৬০ রানে ৩ উইকেটের পতনের পর ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংসের মেরুদণ্ডের কাজই করেছেন আফিফ হোসেন। আর এই বাঁহাতির সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন টিম প্রিঙ্গল। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের দলীয় রান ১২৯’এ রেখে ১৮-তম ওভারের শেষ বলে বিদায় নেন আফিফ।

এর সাথে, টিম প্রিঙ্গল নিজেকেও মিলিয়ে দেখতে পারেন। তার ক্যাচও ছেড়েছিলেন নাজমুল শান্ত। কিন্তু, এক বল ব্যবধানেই তাকে সরাসরি বোল্ড করেন হাসান মাহমুদ। আর এ সবই ক্রিকেটেরই অংশ। তবে, ছোট ব্যবধানে ম্যাচ হারলে যদি-কিন্তু টেনে আফসোস করাটাও হয়ে ওঠে প্রাসঙ্গিক।

আরও পড়ুন: টেস্টের লেংথে বল করে এসেছে সাফল্য, জানালেন তাসকিন

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply