একুশ শতকের পৃথিবীতেও ক্যানিবাল বা মানুষখেকো থাকতে পারে! তাও আবার সভ্য সমাজে! অবিশ্বাস্য হলেও এমন দুজনের সন্ধান পাওয়া গেছে রাশিয়ায়। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ক্রাসনোদার শহরে এমন এক সিরিয়াল কিলার দম্পতিকে পাওয়া গেছে, যারা অন্তত ৩০ জনকে হত্যার পর খেয়ে ফেলেছে।
দক্ষিণ ক্রাসনোদারে ১৯৯৯ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে মানুষ হত্যা করে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ খেয়ে ফেলেছে এই দম্পতি। এ পর্যন্ত, রাক্ষুসে এই দম্পতির শিকার ৭ জনকে শনাক্ত করা গেছে।
মোবাইল ফোনে লাশের ছবি শনাক্তের মাধ্যমে এক দম্পতির রোমহর্ষক স্বজাতিভক্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। মোবাইল ফোনটির মালিক সন্দেহভাজনদের একজন। ইতিমধ্যেই ৩৫ বছর বয়স্ক সেই ব্যক্তি এবং তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে রাশিয়ান পুলিশ।
গত ১৮ বছর ধরে এই বর্বর কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাওয়া এই দম্পতি ধরা পড়েছেন মোবাইল ফোনের ছবির কারণে। সেপ্টেম্বরের শুরুতে ক্রাসনোদারের এক রাস্তায় ওই খুনির মোবাইল ফোন খোয়া যায়। সেই ফোনেই পাওয়া যায় এক নারীর মরদেহের সাথে খুনির সেলফি। মৃত নারীর শরীরের বিভিন্ন অংশ একটা ব্যাগে ভরে ফেলে দিয়েছিল তারা, যা কিছুদিনের ভিতরেই খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।
ফোনের মালিক দাবি করেছিলো, সে হত্যাকারী নয়; শুধুমাত্র লাশ খুঁজে পেয়েছিল এবং শখ করে ছবি তুলেছিল। তবে আইনশৃংখলা বাহিনী বলছে, ওই নারীর কাটা হাত কাঁচের বয়ামে সংরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গেছে হত্যাকারী দম্পতির বাসায়।
যমুনা অনলাইন: আরএএম
Leave a reply