উপকূলে আঘাত হেনেছে সিত্রাং

|

বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এর প্রভাবে উপকূলবর্তী জেলাগুলো ৫-৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাস দেখা দিয়েছে। কক্সবাজারে জারি করা হয়েছে ৬নং সতর্কতা সংকেত। এছাড়া, সেন্টমার্টিনের বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশটি পায়রা থেকে ১৭০ কি.মি. দূরে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মূল অংশটি আঘাতের পর উপকূল অতিক্রম করতে ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগবে ঘূর্ণিঝড়টির।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৩ কিলোমিটার। ঘণ্টায় ২০ থেকে ৩০ কি.মি. গতিতে উপকূলের দিকে এগুচ্ছে সিত্রাং।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টার পরই ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করেছে। মধ্যরাত নাগাদ বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত হতে পারে। তবে সিত্রাং এর বাংলাদেশ সীমা অতিক্রম করা শেষ হতে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। ঘূর্ণিঝড় শক্তিশালী হলে পায়রা ও মোংলায় বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১০৫ কিলোমিটার হতে পারে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ উপকূলীয় ১৩ জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাটি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলাকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এসব অঞ্চলের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। একই সতর্কতা থাকবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরের জন্যও।

এছাড়া, উপকূলীয় ১৫ জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর নৌবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।

আবহাওয়া অধিদফতরের উপ-পরিচালক ছানাউল হক মণ্ডল জানান, সিত্রাং এর প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘণ্টা দেশের অধিংকাশ স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। উপকূলে ৫ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছ্বাস হতে পারে এবং চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের শঙ্কাও রয়েছে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply