ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: তেমন ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি নেই, পর্যবেক্ষণ শেষে বলছে বিমান বাহিনী

|

বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে ভোলার পরিস্থিতি।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। এরই মধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছে বিমান বাহিনীর একটি দল। উদ্ধারকারী একটি হেলিকপ্টার নিয়ে পরিদর্শন করে তারা। এ সময় তেমন কোনো ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখা যায়নি।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে বিমান বাহিনী একটি দল হেলিকপ্টার নিয়ে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে। শুরুতে যাওয়া হয় বাগেরহাটের মোংলা এলাকায়। সেখানে দেখা গেছে, বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতার চিত্র। ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে অনেক, নুয়ে পড়েছে ধানের শীষ।

বরগুনা-পটুয়াখালীতে বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেখানেও কৃষকদের মাথায় হাত। জোয়ারে ভেসে গেছে চিংড়ি ঘের। ঘূর্ণিঝড়ের প্রবেশ পথ ভোলার চরফ্যাশন ও লালমোহনেও একই অবস্থা। কেউ আটকে পড়ে আছে কিনা আকাশ থেকে তা পর্যবেক্ষণ করা হয় এ সময়।

তবে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি উল্লেখ করে বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার বরকত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা সোয়া ২ ঘণ্টা ধরে ভোলার চরফ্যাশন ও মোংলা এলাকায় ফ্লাই করলাম। উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি দেখিনি। রাস্তাঘাট এমনকি কাঁচা ঘরবাড়িরও তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।

এরই মধ্যে জেলাগুলোর আকাশ পরিষ্কার হয়েছে অনেকটাই। আপাত দৃষ্টিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবমুক্ত বলে মনে হয়েছে সেসব অঞ্চলে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা আকাশ থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোর অবস্থা দেখে ঢাকায় ফিরে আসে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারটি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply