তীব্র হচ্ছে পুঁজিবাজারের দরপতন; লোকসান দিয়েও শেয়ার বিক্রি করছেন অনেকে

|

আলমগীর হোসেন:

তীব্র হচ্ছে পুঁজিবাজারের দরপতন। প্রতিদিনই কমছে সূচক ও শেয়ার দর। আর এতে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের অভিযোগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিজেই আস্থাহীনতা তৈরি করছে। চেক নিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রজ্ঞাপন বাড়িয়ে দিয়েছে ক্ষোভ। মন্দার আভাসে হতাশা বাড়ছে।

এমন পরিস্থিতে অনেকে লোকসান দিয়ে হলেও শেয়ার বিক্রি করছেন। মার্জিন ঋণ সমন্বয়ে হিমশিম খাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পুঁজিবাজারে দরপতনের ধারা নিম্নমূখী। সূচক কমেছে প্রায় দুইশ পয়েন্ট। দেড় হাজার কোটি টাকার দৈনিক লেনদেন এখন ৭শ’ কোটি টাকার ঘরে। কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার।

সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম তলানিতে। ৩ মাস ধরে ফ্লোর প্রাইসেই পড়ে আছে ৭০ শতাংশের বেশি শেয়ার।

ক্ষুদ্ধ এক বিনিয়োগকারী বলেন, কেউ না কেউ তো শেয়ারগুলো কম দামে হাতিয়ে নিচ্ছে। নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সাধারণ মানুষের কান্না কেউ দেখে না। কয়জন মিডিয়ার সামনে কথা বলে? লজ্জায় কেউ কথা বলে না।

আরেক বিনিয়োগকারী বলেন, চেকের বিষয়টি নিয়ে এত আতঙ্ক, কেউই শেয়ার রাখতে চাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চেক নগদায়নের ইস্যুর পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের সুখবর না থাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে নানা ধরনের বক্তব্যের প্রভাব পড়ছে বাজারে। মন্দার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে হতাশ হয়ে পড়ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। অনেকে শেয়ার বিক্রি করে মার্জিন ঋণ সমন্বয় করছেন। এর ফলে তরান্বিত হচ্ছে দরপতন।

স্কয়ার সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক এস এম রাশিদুল ইসলাম বলেন, সবদিক দিয়েই তো পরিস্থিতি খারাপ। সব বার্তাই তো খারাপ আসতেছে, জ্বালানি-বিদ্যুৎ সংক্রান্ত। এজন্য মানুষ কিছুটা ভীতু।

ডিবিএ এর সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম বলেন, সরকারি পর্যায় থেকে আমাদের সতর্ক করা হচ্ছে। এজন্য মানুষ ভয়ে আছে, এটি একটা কারণ হতে পারে। সেই সাথে আরেকটি বিষয় আছে, সেটি হলো, মার্কেট যখন পতন হতে থাকে, যেহেতু আমাদের মার্কেটের বড় একটি অংশ মার্জিন লোন নির্ভর, এই মার্জিন তখন আরও বেশি সেল প্রেসারে পড়ে। যেটাকে আমরা ফোর্স সেল বলি। এই ফোর্স সেলের কারণে মার্কেট আরও ত্বরানিত হয়।

সার্বিক অথনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে তা দূর করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply