রোহিঙ্গা নিপীড়নে রুশ অস্ত্র ব্যবহার; মিয়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জাতিসংঘের

|

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের মতোই বিপর্যস্ত এখন মিয়ানমার। অথচ রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও সে তুলনায় মিয়ানামরের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে তেমন সোচ্চার হয়নি বিশ্বশক্তিগুলো। এমন অভিযোগ খোদ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার। সম্প্রতি প্রকাশিত বিশেষ এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিক আর মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর একই ধরনের রুশ অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। অথচ মস্কোর ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও, মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর তেমন কোনো কড়াকড়ি আরোপ করা হয়নি।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বিশেষ অধিবেশন বসে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হলেও বিশেষ গুরুত্ব পায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুটি। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থান লক্ষ্য করে চলছে বিমান বাহিনীর হামলা। রুশ সুখোই জেট থেকে ছোড়া হচ্ছে একের পর এক রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র। সম্প্রতি এক কনসার্টে চালানো বিমান হামলায় প্রাণ যায় কাচিন জনগোষ্ঠীর অন্তত ৮০ জনের।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের বেসামরিক মানুষ আর মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর একই ধরনের রুশ অস্ত্র দিয়ে হামলা চলছে। অথচ মস্কোর ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হলেও নেইপিদো ইস্যুতে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বিশেষ প্রতিনিধি টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা এবং ইউক্রেনের বেসামরিক- এ দুই ক্ষেত্রে একটি ইস্যুতে মিল আছে। তার তা হলো রুশ অস্ত্র দিয়ে মিয়ানমারের নাগরিকদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালানো হচ্ছে। রাশিয়ার ওপর যেভাবে বিশ্ব শক্তিগুলো ফুঁসে উঠেছে মিয়ানমারের ক্ষেত্রে তেমনটি হয়নি। ফলে জান্তা সরকার সেখানে আরও কঠোর হয়ে উঠেছে।

এমনকি ইউক্রেন আর মিয়ানমারে একই ধরনের মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হলেও, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তেমন সোচ্চার হয়নি আন্তর্জাতিক শক্তি। উঠে আসে এমন অভিযোগও।

টম অ্যান্ড্রুজ আরও বলেন, রাখাইনে দেখুন, কি ভয়াবহ বিপর্যয় চলছে সেখানে। দেড় লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে রাখা হয়েছে ক্যাম্পে। সেখানে অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। খাবার নেই, ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে শিশুরা। জীবন বাঁচানোর প্রয়োজনীয় ওষুধটুকুও তাদের দেয়া হচ্ছে না। ইউক্রেনের আদলে সেখানে মানবিক বিপর্যয় চললেও এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

অধিবেশনে, ইরাক, ইরান, আফগানিস্তানসহ সংঘাতপূর্ণ বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও শঙ্কা জানানো হয়।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply