রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কাকলী থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত ১১ কি.মি. রাস্তাজুড়ে তীব্র যানজট গত কয়েকদিন ধরেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের নিত্যদিনের চেহারা; আর প্রতিদিনের ভোগান্তি। এ যানজটের মূল কারণ- টঙ্গীর মিল গেট এলাকা। সেখানে রাস্তা একরকম বন্ধ করে দিয়ে ঢিমেতালে চলছে বিআরটি প্রকল্পের কাজ। দেড় কিলোমিটার রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজের কারণে প্রতিদিন দুই বেলা ৪-৫ ঘন্টা বিমানবন্দর রোডের ১১ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে আটকে থাকছে হাজারও যানবাহন। যানজট, খানাখন্দ, তীব্র ধুলো আর বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা এ পথে চলাচলকারীদের নিত্যসঙ্গী।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা। রাজলক্ষী থেকে আব্দুল্লাহপুর, পৌনে ২ কিলোমিটার রাস্তায় ১ ঘন্টা ৫০ মিনিটে এক চুলও নড়েনি কোনো গাড়ি। টঙ্গী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গুরুতর রোগী নিয়ে গাজীপুর সদর হাসপাতাল যাওয়ার পথে আটকে আছে অ্যাম্বুলেন্স। রোগী নিয়ে বিপাকে পড়ে তার পরিবার।
এমন ভোগান্তি আর যানজটের মূল কারণ টঙ্গীর মিল গেইট এলাকা। দেড় কিলোমিটার রাস্তার ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলছে বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের কাজ। রাস্তা এতোটাই সরু হয়েছে যে, একটি করে গাড়ি যাওয়া ছাড়া কোনো উপায়ই নেই।
এ প্রসঙ্গে জিএমপি’র ডিসি (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন বলেন, দুইপাশের রাস্তাকে ওয়ান ওয়ে করে আমরা আগাচ্ছি। এটা ছাড়া আসলে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো উপায় নেই।
গাজীপুর ট্রাফিক বিভাগ বলছে, উন্নয়ন কাজে রাস্তায় মানুষের চলাফেরার তোয়াক্কাই করছে না বিআরটি প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। এ কাজ চলবে আরও লম্বা সময়। তাই রাস্তা বাড়াতে স্থাপনা ভাঙছে পুলিশ।
জিএমপি’র ডিসি (ট্রাফিক) আলমগীর হোসেন আরও বলেন, আমরা আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই এর একটা সমাধান করবো ইনশাআল্লাহ।
প্রসঙ্গত, বৃষ্টিতে খানাখন্দ-জলাবদ্ধতা, অন্যসময় নাক-মুখ-চোখ বন্ধ করা ধুলোবালি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘন্টা। ২ ঘন্টা আগে বেরিয়েও নিস্তার নেই যানজট থেকে। রাজধানীবাসীর প্রশ্ন, কবে মুক্তি মিলবে এ ভোগান্তি থেকে?
/এসএইচ
Leave a reply