যবিপ্রবির ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জাল সনদের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি

|

ছবি : সংগৃহীত

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ৯ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সনদ জাল ও অবৈধ বলে সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলতি আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৮২-তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর আগে সনদ যাচাই সংক্রান্ত তিনটি আলাদা কমিটি রিজেন্ট বোর্ডে তাদের প্রতিবেদন পেশ করে।

২০২০ সালে যবিপ্রবির শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সনদপত্র যাচাইয়ে একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি সনদপত্র যাচাই করে উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ১৩ জনের সনদে ত্রুটি পায়। সে বিষয়ে রিজেন্ট বোর্ডে প্রতিবেদন জমা দেন। শনিবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী জাল ও অবৈধ সনদধারী ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

জাল ও অবৈধ সনদধারী কর্মকর্তারা হলেন, সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মো. মহিদুল ইসলাম (স্নাতকোত্তর, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়), টেকনিক্যাল অফিসার মো. হেলালুল ইসলাম (স্নাতক, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যলয়), টেকনিক্যাল অফিসার মো. জাহিদ হাসান (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মো. সাকিব ইসলাম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মোছা. হাসনা হেনা (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)।

রিজেন্ট বোর্ডে গৃহীত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী জাল ও অবৈধ সনদধারী তিন কর্মচারী হলেন, মেকানিক মো. জাকির হোসেন (স্নাতক, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়), সিনিয়র ক্লিনার দিলীপ হরিজন (অষ্টম শ্রেণি), ক্লিনার বাসুদেব দাস (অষ্টম শ্রেণি)।

অভিযুক্ত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। একাধিক কর্মকর্তা রোববার (৩০ অক্টোবর) কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সনদ যাচাই কমিটির প্রধান ও ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল মজিদ বলেন, ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সনদ যাচাই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি নিয়মিত সনদ যাচাই করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তার সনদ জালিয়াতির অভিযোগ আসে। বিষয়টি রিজেন্ট বোর্ডে তোলা হয়। রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সব শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর সনদ যাচাইয়ের কমিটি গঠন করা হয়। অধিকতর তদন্ত কমিটির রিপোর্টে ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সনদ জালিয়াতির প্রমাণ মিলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও দেশের প্রচলিত আইনে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

অভিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা ২০১০-২০১৪ সালের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত। এদের মধ্যে ৭ জনের সনদ জাল এবং ২ জনের সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের হদিস মেলেনি। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তারা নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সনদ যাচাইয়ের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply