দ্য এশিয়া ইয়াং ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডস: সেরা ১০০ তরুণের তালিকায় ১০ বাংলাদেশি

|

সেরা ১০০ এশীয় তরুণের তালিকায় স্থান পাওয়া ১০ বাংলাদেশি।

সমাজে অসামান্য অবদান এবং অনুপ্রেরণামূলক জীবনগল্পের জন্য মালয়েশিয়ার প্রতিভা বৃদ্ধি এবং প্রবৃত্তি প্ল্যাটফর্ম ‘মনস্টা এশিয়া’ কর্তৃক “দ্য এশিয়া ইয়াং ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডস” এর জন্য এশিয়ার সেরা ১০০ মেধাবী তরুণের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ১০ বাংলাদেশি তরুণ। গত ২২ অক্টোবর মনস্টা এশিয়ার ওয়েবসাইটে সেরা ১০০ তরুণের তালিকা প্রকাশিত হয়। নির্বাচিত ১০ বাংলাদেশি তরুণ নিজ নিজ স্থান থেকে বিভিন্নভাবে দেশ, সমাজ ও তরুণদের নিয়ে কাজ করছেন।

দ্য এশিয়া ইয়াং ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডস মালয়েশিয়ার একটি প্রতিভা বৃদ্ধি এবং প্রবৃত্তি প্ল্যাটফর্ম ‘মনস্টা এশিয়া’ কর্তৃক আয়োজিত হয়। যা মূলত, এশিয়ান তরুণদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত দক্ষতা, প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করে। দ্য এশিয়া ইয়াং ট্যালেন্ট এওয়ার্ডস এর উদ্দেশ্য- প্রতিভাবান ১৮-৩০ বছর বয়সের তরুণদের স্বীকৃতি প্রদান করা যাতে তারা নিজেদের প্রতিভা, জীবনগল্প ও কাজ দিয়ে সমাজের অন্যান্য মানুষদের সামাজিক কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত এবং প্রভাবিত করতে পারে।

এই ১০ জন হলেন, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) এর সাদী মুহাম্মাদ তামিম (প্রতিষ্ঠাতা সিংড়া স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন), মোক্তার হোসেন( হেড অফ অপারেশন, জাহানারা ফাউন্ডেশন), ইসরাত শারমীন কেয়া (প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, বৃদ্ধি ফাউন্ডেশন), আহসানুল মাহবুব রাব্বী (প্রতিষ্ঠাতা, নিউজপেপার অলিম্পিয়াড), মোহাইমেনুল সোলাইমান নিকোলাস (কনটেন্ট টীম লিড, রিভার্স স্কুল), মুরশিদুল আলম ভূঁঞা (টিম ব্যর্থ),সাজিদ উর রশিদ(কনটেন্ট রাইটার, রিভার্স স্কুল), তালহা জুবায়ের, তাহমিনা আক্তার সুপ্তি (ফাউন্ডার অফ লাইট ফর লাইফ এন্ড প্রজেক্ট ফরচুন) এবং রাজু আহমেদ (প্রতিষ্ঠাতা,অ্যাওয়ার্নেস আর্মি যুব সংগঠন)।

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এ ১০ জনের একজন হলেন- বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) এর ছাত্র সাদী মুহাম্মাদ তামিম (প্রতিষ্ঠাতা সিংড়া স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন)। দ্য এশিয়া ইয়াং ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডস সূত্রে জানা গেছে, তামিম বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবং করোনা মহামারির সময় খাদ্য এবং ওষুধ দিয়ে সহায়তা করার পাশাপাশি দরিদ্র এবং মেধাবী ছাত্রদের পড়ার জন্য বই এবং শিশুদের খাদ্য ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজন করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করেছেন।

তামিম জানান, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুদের উপকারে এগিয়ে আসা আমাদের সকলেরই কর্তব্য। পরিবেশ আমাদের জীবনধারণের সকল উপাদান দিয়ে থাকে, তাকে টিকিয়ে রাখা দায়িত্ব আমাদেরই। আমি সেই দায়িত্বের জায়গাটুকুই পালন করেছি মাত্র।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply