পাবনা প্রতিনিধি
পাবনায় সাত বছরের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলার চাটমোহর উপজেলার মুলগ্রাম ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঘটার পর থেকেই ধর্ষক ওই গ্রামের হৃদয় সরকারের ছেলে সবুজ সরকার পলাতক রয়েছে। শিশুটি ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) তাপস কুমার পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ভবানীপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির মেয়ে (৭) বাড়ির পাশের একটি ঘরে একা টেলিভিশন দেখছিল। এ সময় সুযোগ বুঝে প্রতিবেশী সবুজ তাকে ধর্ষণ করে। শিশুটিরচিৎকারে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এসময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। বর্তমানে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। আমরা খবর পাওয়ার পর পরই ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির খোঁজ খবর নেই। ধর্ষককে আটকের জন্যে পুলিশের কয়েকটি টিম অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান তাপস কুমার পাল।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটির মা বলেন, আমার জীবনে এ ধরনের পাশবিক নির্যাতন দেখি নাই। যে ব্যক্তি আমার মেয়ের এই অবস্থা করেছে, আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ সময় শিশুটির বাবা কোন কথা বলতে পারেনি।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম রুবেল বলেন, মেয়েটি দুপুর দু’টার দিকে হাসপাতালে ভর্তির পরপরই আমাদের সিনিয়র চিকিৎসকদের একটি টীম গঠন করে অপারেশন করা হয়। সফলভাবে অপারেশন সম্পন্ন করা হয়েছে। মেয়েটি অবচেতন অবস্থায় আছে, পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আশা করছি ঠিক হয়ে যাবে।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেলের আইন কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট শামিমা নাসরিন সোনিয়া বলেন, মেয়েটি ভর্তির পর থেকেই আমরা তার পাশে রয়েছি। আর্থিক ও আইনগত সকল সহায়তা প্রদান করা হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
Leave a reply