Site icon Jamuna Television

কুতুবদিয়ার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারের টাকা যাচ্ছে জলে

ফাইল ছবি

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার দুঃখ অস্থায়ী বেড়িবাঁধ। চারপাশে সাগরবেষ্টিত এই দ্বীপ উপজেলার মানুষের দুদর্শার শেষ নেই। দ্বীপ ঘিরে থাকা বেড়িবাঁধের অর্ধেক ভাঙা; ক’দিন আগেই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে বাকি অংশও বিধ্বস্ত। বছর-বছর সংস্কারের নামে ব্যয় করা সব অর্থ যাচ্ছে জলে।

কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধুরং এবং কৈয়ারবিলের সীমানা সংলগ্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে এখনও দুই মাসও হয়নি। কিন্তু এর মধ্যেই সিত্রাংয়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে গেছে বাঁধের বেশিরভাগ অংশ।

শুধু ওই অংশটি নয়, এবারের জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙ্গেছে আলী আকবর ডেইল, উত্তর ধুরুংসহ অন্তত ৬টি ইউনিয়নের ২২টি পয়েন্টে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ২ হাজারেও বেশি বাড়ি ঘর। নষ্ট হয়েছে অন্তত ৪৫ একর ফসলি জমি।

কুতুবদিয়ার চারদিকে ৪০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ২০ কিলোমিটারই ভাঙ্গা। বছর বছর ভাঙ্গা অংশ সংস্কার হয়, বছর শেষে জোয়ারের পানি ঢুকে আবারও ভেসে যায় বাঁধের সব মাটি।

এর আগে, ২০১১ সালে আলী আকবর ডেইলের বেশ কিছু অংশে আরসিসি ব্লক এবং জিও ব্যাগ দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। এবারের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এই বাঁধটিও। আগামী পূর্ণিমায় এ অংশ দিয়ে আবারও জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ারা আশঙ্কায় স্থানীয়রা।

আরসিসি ব্লক দিয়ে কুতুবদিয়ায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে একটি প্রকল্প নেয়ার কথা বলছেন কর্মকর্তারা। তার আগে সংস্কার করা হবে সিত্রাংয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা।

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, এই জায়গাগুলো মেরামত করলে ভাল হবে বা কোন ধরনের কাজ করলে ভাল হবে সে ব্যাপারে সার্ভে করা হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

১৯৯১ সালের প্রলয়কারী ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু হয়েছিল কুতুবদিয়ার ৩৪ হাজার মানুষের। এরপর ৩১ বছর কেটে গেলেও স্থায়ী বাঁধ পায়নি এই দ্বীপ উপজেলার মানুষ।

/এসএইচ

Exit mobile version