দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৮৬ রানের টার্গেট দিলো পাকিস্তান

|

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ টুর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৮৬ রানের টার্গেট দিয়েছে পাকিস্তান। ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খানের ঝড়ো ইনিংসে ৯ উইকেটে ১৮৫ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।

সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকার ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাবর আজম। প্রথম ওভারে ৪ রান করে পার্নেলের বলে বোল্ড হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন মোহম্মাদ রিজওয়ান। তারপর ভালো সূচনা করে আউট হন মোহম্মদ হারিস। তিনি করেন ১১ বলে ২৮ রান। অধিনায়ক বাবর আজম আজও ব্যর্থ। বাবর করেছেন ১৫ বলে মাত্র ৬ রান।

সপ্তম ওভারে ৪৩ রানে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ফিরে গেলে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। পরে জুটিবদ্ধ হন মোহাম্মদ নওয়াজ ও ইফতিখার আহমেদ। শূন্য ও ২ রানে জীবন পাওয়ার পর ইফতিখার যেন আগুন ঝরালেন। নওয়াজও ছিলেন দুর্দান্ত। দু’জনের জুটি পঞ্চাশ ছাড়ানোর পরই ভেঙে যায়। নওয়াজ ২২ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ২৮ রানে থামেন তাবরিজ শামসির বলে। এরপরেই ইফতিখার ও শাদাব খান বিস্ফোরক জুটি গড়েন। মাত্র ২২ বলে তাদের জুটি পঞ্চাশে পৌঁছায়। ৩৬ বলে ৮২ রানের জুটি ছিল শাদাব ও ইফতিখারের। দু’জনেই পেয়ে যান ফিফটি। শাদাব ২২ বলে, আর ইফতিখার হাফ সেঞ্চুরি করেন ৩৩ বলে।

পঞ্চাশ করার পরের বলে এইডেন মার্করামের হাতে জীবন পান শাদাব। কিন্তু নর্কিয়ের কাছে পরের বলে থামতে হয় তাকে। ২২ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৫২ রানে থামেন শাদাব। টানা দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমকে ফেরান নর্কিয়ে।

শেষ ওভারের প্রথম বলে কাগিসো রাবাদা ফেরান ইফতিখারকে। ৩৫ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৫১ রান করে রাইলি রুসোর কাছে ক্যাচ দেন তিনি। টানা তিন বলে উইকেট হারিয়ে কমে যায় রানের গতি। পরে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান।

এই গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট ৫ আর পাকিস্তানের দুই। তাই এই ম্যাচ জিতলেই সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবে প্রোটিয়ারা। অন্যদিকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে পাকিস্তানের। যদিও কাগজে-কলমে সম্ভাবনা থাকলেও রানরেটে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তানের জন্য সমীকরণটা কঠিন। এই ম্যাচ জিতলেই হবে না, জিততে হবে বাংলাদেশের সাথেও। সেই সাথে তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ম্যাচের দিকেও।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply