শেষ দল হিসেবে রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়েছে ইংল্যান্ড। শেষ ষোলো’র শেষ ম্যাচে কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়েছে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইংলিশরা এগিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে কলম্বিয়ান ডিফেন্ডার মিনা’র গোলে ১-১ সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটে কার্লোস সানচেজের ভুলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে দলকে লিড এনে দেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। বিশ্বকাপের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ৬ গোল করে সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি। তবে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে কর্নার থেকে মাথা ছুঁইয়ে দলকে সমতায় ফেরান মিনা। অতিরিক্ত সময়ে কোনো গোল না হলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ইংলিশদের হয়ে হেন্ডারসন মিস করলেও, কলম্বিয়ার হয়ে উরিবে আর বাক্কার দুটি শট ঠেকিয়ে দলকে শেষ আটে নিয়ে যান ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ সুইডেন।
এদিকে, নির্ধারিত সময়ে দারুণ লড়েও টাইব্রেকার ভাগ্যে বিদায় নেয়ায় বেশ হতাশ কলম্বিয়ার কোচ হোসে পেকারম্যান। দলের উপর অবশ্য পূর্ণ আস্থা ছিল ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের। এখন ভাবতে চান পরের ম্যাচ নিয়ে। আর আসরের সর্বোচ্চ স্কোরার ও ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইন নিজেদের দাপট ধরে রাখতে চান গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দলের হয়ে নিজের ৬ষ্ঠ গোলটি জালে ঠেলে দেন হ্যারি কেইন। তবে এর মধ্যে ৩টি স্পট কিক থেকে। নামের প্রতি কতটা সুবিচার করতে পেরেছেন, এমন প্রশ্নের জবাব পরের ম্যাচেই দিতে চান কেইন। বলেছেন, আপনি যত ভালো দলই হোন না কেনো, কলম্বিয়ার রক্ষণ ভেঙ্গে ঢোকাটা বেশ কঠিন। আমরা গ্রুপ পর্বের শুরুতে গোল পেয়েছি অনেক। কিন্তু এখানে প্রতিটি দলই বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ। তারপরও বলবো, ম্যাচে আমাদের দাপট ছিলো, পরের ম্যাচেও থাকবে।
ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট জানান, দলের সবাই বেশ ভালো ফর্মেই রয়েছে। আজকের ম্যাচটি আমাদের জন্য একটা ভালো পরীক্ষা ছিল। কলম্বিয়া যেভাবে ম্যাচে ফিরেছে তা সত্যি প্রশংসার যোগ্য। তবে আমি কখনই দলের উপর আস্থা হারাইনি।
ম্যাচে ছিল না দলের অন্যতম সদস্য হামেশ রদ্রিগেজ। তারপরও ফ্যালকাওরা ইংল্যান্ডের রক্ষণে আক্রমণ চালিয়েছে দাপটের সাথেই। হয়তো রদ্রিগেজ থাকলে চিত্রটা ভিন্ন হতে পারতো তাদের জন্য।
অবশ্য কলম্বিয়া কোচ হোসে পেকারম্যান বলেন, কে ছিলো কে নেই তা ভেবে এখন আর কোনো লাভ নেই। চেষ্টার কমতি ছিল না দলের সবার। টাইব্রেকে যেকোনো দলই জয় পেতে পারে। নিজেদের সেরা একাদশ খেলাতে না পারাটা এখন সকলের মন খারাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুঃখিত এমন ফলাফলের জন্য।
যমুনা অনলাইন: এটি
Leave a reply