ইসরায়েলের ক্ষমতায় ফিরছেন নেতানিয়াহু, শঙ্কায় ফিলিস্তিনিরা

|

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের ক্ষমতায় ফিরছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় চরম ডানপন্থী নেতা বেন গেভিরের সাথে জোট গড়ে সরকার গঠন করবেন তিনি। ফিলিস্তিনিদের প্রতি এ দুই নেতারই রয়েছে কঠোর মনোভাব। আর তাই ফিলিস্তিনিদের শঙ্কা, নতুন সরকার আরও আগ্রাসী হবে। তাদের উচ্ছেদে বাড়বে হামলার পরিধি। তবে, যেকোনো পরিস্থিতিতেই জন্মভূমি ছাড়তে নারাজ তারা। খবর সিএনএনের।

নেতানিয়াহুর অতীত শাসনামলে দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। ফিলিস্তিনিদের শঙ্কা, এবার কট্টর ডানপন্থী বেন গেভিরের সাথে জোটবদ্ধ হলে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে ইসরায়েলের নতুন সরকার। প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেন, যা ভেবেছিলাম তাই হয়েছে। কট্টর ডানপন্থীরাই ইসরায়েলের ক্ষমতায় আসছে। নতুন সরকারের ফিলিস্তিনিদের ওপর আরও বেশি আগ্রাসী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে, আগেও ইসরায়েলের কোনো সরকারই ফিলিস্তিনিদের উৎখাতের চেষ্টা করে সফল হয়নি। নেতানিয়াহুর এই সরকারও হবে না।

হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, নির্বাচনের এই ফলাফল ইসরায়েলে চরম ডানপন্থীদের উত্থান নিশ্চিত করছে। নেসেট আরও চরমপন্থী ও বর্ণবাদী হয়ে উঠছে। এর প্রভাব গোটা অঞ্চলেই পড়বে।

কেউ কেউ আবার ইসরায়েলের নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। তারা বলছেন, অতীতের সব সরকারই ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন চালিয়েছে। তাই, ক্ষমতায় যারাই আসুক ফিলিস্তিনিদের নিয়ে তাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। চলতি বছরও ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। ফিলিস্তিনের এক অধিবাসী বলেন, ইসরায়েলের কোনো সরকারেই ফিলিস্তিনিদের ভরসা নেই। অতীত অভিজ্ঞতা বলে, এই সরকারও ফিলিস্তিনিদের জন্য নতুন কিছু নিয়ে আসবে না। পশ্চিম তীর আর গাজায় তারা সবসময়ই অত্যাচার চালিয়েছে, ভবিষ্যতেও চালাবে।

তবে জন্মভূমি না ছাড়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞার কথা এসেছে ফিলিস্তিনের অধিবাসীদের কণ্ঠে। তারা বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বকালে আগেও ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার পায়নি। এবারের জোটে তো রয়েছে কট্টর ডানপন্থী দল। বলাই যায়, যুদ্ধ, রক্ত, ঘরবাড়ি ভাঙচুরের শিকার হওয়া ছাড়া ফিলিস্তিনিদের কপালে আর কিছুই নেই। তবে যাই হোক, আমরা জন্মভূমি ছাড়বো না।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply