বড় নাশকতার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলো নতুন এ জঙ্গি সংগঠনটি; অস্ত্র ও প্রশিক্ষণে ৮ মাসে খরচ ৫০ লাখ

|

জঙ্গি সংগঠনটির আটককৃত সদস্যরা।

অস্ত্র ও প্রশিক্ষণে আট মাসে প্রায় অর্ধকোটি টাকা খরচ করেছে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামের নতুন একটি উগ্রবাদি সংগঠন। সম্প্রতি, ঘরছাড়া তরুণদের খুঁজতে গিয়ে এই সংগঠনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব কর্মকর্তারা।

নতুন এ জঙ্গি সংগঠনের চার সদস্যকে আটকের পর শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে, র‍্যাব। কর্মকর্তাদের দাবি, বড় ধরনের নাশকতার জন্য জড়ো হচ্ছিল এ সংগঠনের কর্মীরা। এর আগে, গত অক্টোবর মাসে টানা প্রায় সপ্তাহখানেক জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলে বান্দরবানের দূর্গম পাহাড়ী এলাকায়। এ সময় খোঁজ পাওয়া যায় নতুন এ উগ্রবাদি সংগঠনের।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) কুমিল্লার লাকসাম থেকে সংগঠনটির চার সদস্যকে আটক করে র‍্যাব। র‍্যাবের দাবি, এদের একজন শারক্বীয়ার অর্থ বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক বাচ্চু ও হিজরত বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক সোহেল।

পাহাড়ে অভিযান চলাকালে আটককৃত জঙ্গি সদস্যরা।

এর আগে, ৩ দফায় এ সংগঠনের আরও ২২ সদস্যকে গ্রেফতারের খবর জানায় র‍্যাব। কর্মকর্তারা জানান, গেলো আট মাসে প্রায় ১৭ লাখ টাকার অস্ত্র কিনেছে সংগঠনটি। আর প্রশিক্ষণ বাবদ খরচ করেছে আরও অন্তত ৩৩ লাখ টাকা।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম কেন্দ্রের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ভিতু, কৃপণ, বাচাল, ঘরকুনো ও রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত- এই ৫ ধরনের মানুষকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে এরা। যুদ্ধ সম্পর্কে তাত্ত্বিক ও শারীরিক প্রশিক্ষণসহ আরও বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে প্রস্তুত করে তাদের সংগঠনের ৮ সেক্টরের যেকোনো একটিতে যোগ্য করে তোলার একটি প্রক্রিয়া নিয়েছে।

উদ্ধারকৃত অস্ত্র।

র‍্যাব জানায়, হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যরা তথ্য-প্রযুক্তিতে বেশ দক্ষ। আইনশৃখলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে হাত-পায়ের ছাপ মুছে ফেলাসহ নানা কৌশল রপ্ত করেছে তারা। গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছে পাহাড়ি এলাকায়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, হিজরতকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেনো কোনোধরনের ফুটপ্রিন্ট না পায় সেজন্য এ সংগঠনের সদস্যদেরকে সতর্ক করা হয়েছে, মোবাইল সিকিউরিটি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। ফেসবুক বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের কোনো আইডি থাকা যাবে না; থাকলেও ডিলিট করতে বলা হয়েছে। অরিজিনাল জাতীয় পরিচয়পত্রটি রেখে বাকি সব কপি ও ফটোকপি ধ্বংস করতে বলা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রশিক্ষণের জন্য ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠন কেএনএফ এর সাথে প্রতি মাসে ৩ লাখ টাকায় চুক্তি করেছে সংগঠনটি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply