বৃথা গেল রাশিদ খানের লড়াই। আট নম্বর ব্যাটার হিসেবে যখন রাশিদ খান নামেন, তখন ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে আফগানিস্তান। আগের ওভারেই জাম্পা ফিরিয়েছেন ৩ ব্যাটসম্যানকে। ৩৩ বলে ৬৩ রান দরকার তখন আফগানদের, হাতে উইকেট ৪টি। নেই কোনো প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার। সেখান থেকে আবারও ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা জাগবে তা কে ভেবেছিল?
১৬তম ওভার গেল সিঙ্গেলস-ডাবলস নিয়ে। ১৭তম ওভারেও কোনো বড় শট খেললেন না রাশিদ। ১৮তম ওভারেই যেনো পালটে গেলো ম্যাচের চিত্র। দ্রুত ৪ উইকেট পতনের পর যেখানে আফগানদের জয়ের সম্ভাবনা ছিল ১ শতাংশ। সেখানে রিচার্ডসনকে রাশিদ খান দুই ছক্কা হাঁকানোর পর তা উঠে আসে ৬ শতাংশে।
১২ বলে দরকার ৩৩ রান, সেই ওভারে আবারও হ্যাজেলউডের বল আছড়ে ফেললেন গ্যালারিতে। রান তুললেন ১১। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২২ রান। স্টয়নিসের করা সেই ওভারে দুই চার আর এক ছয় হাঁকালেও ১৭ রানের বেশি তুলতে পারেননি রাশিদ খান।
আগেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হওয়া আফগানিস্তান শেষ ম্যাচে হারলো ৪ রানে। ২৩ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংসে রাশিদ খান মেরেছেন তিনটি চার আর চারটি ছক্কা। যা এবারের আসরে দলটির দুর্ভাগ্যকে কিছুটা হলেও সান্ত্বনা দেবে।
আরও পড়ুন: জিতেও স্বস্তিতে নেই অজিরা, নিতে হবে শ্রীলঙ্কার পক্ষ
ইউএইচ/
Leave a reply