ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করছে পশ্চিমারা: পুতিন

|

ছবি: সংগৃহীত

খেরসন থেকে আবারও বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সামরিক শক্তি বাড়ানো হয়েছে শহরটি সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকাতেও। রাশিয়ার ইউনিটি ডে বা একতা দিবসে এ নির্দেশ দেন পুতিন। দিবসটি উপলক্ষে দেয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করে পশ্চিমারা। খবর অ্যাসোসিয়েট প্রেসের।

১৬১২ সালের ৪ নভেম্বর রুশ বিক্ষোভের মুখে মস্কো ছাড়তে বাধ্য হয় পোলিশ-লিথুয়ানিয়ান বাহিনী। এরপর থেকেই এ দিনকে ইউনিটি ডে বা একতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে রাশিয়া। দিবসটিতে বিক্ষোভের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পুতিন। এরপর ভাষণে তিনি অভিযোগ করেন, ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করছে পশ্চিমা শক্তি।

পুতিন বলেন, ইউক্রেনসহ সোভিয়েত অঞ্চলগুলোকে নাৎসী বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করেছিলো রুশরা। ঠিক যেভাবে আমরা পোলিশ-লিথুয়ানিয়ান বাহিনীকে মস্কো থেকে বিতাড়িত করেছিলাম। কিন্তু, বছরের পর বছর ধরে এ ইস্যুতে ননসেন্সের মতো মিথ্যাচার করে আসছে পশ্চিমা শক্তি। যেমনটা ইউরোপ করে আসছে আফ্রিকা এবং ভারতে চালানো ঔপনিবেশিক শাসন নিয়ে। শোষণের ফলে আফ্রিকা নিঃশেষ হয়ে গেলেও ভারত উন্নতি করছে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে।

ভাষণে এরপরই খেরসনে থাকা বেসামরিকদের দ্রুত সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এতে স্পষ্ট হয়েছে আবারও বড় ধরনের অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে রুশ বাহিনী।

পুতিন বলেন, অবশ্যই খেরসন থেকে বেসামরিকদের সরিয়ে নিতে হবে। কারণ আমি চাই না তাদের কোনো ক্ষতি হোক। সাধারণ নাগরিকদের সরিয়ে নিতে এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে সেখানকার দায়িত্বে থাকা রুশ প্রশাসন।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীও বলছে খেরসন ও আশেপাশের এলাকায় আবারও সেনা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এর আগে, মস্কো বলেছিলো যে, তারা খেরসন থেকে সৈন্য সরাবে। কিন্তু সেসব ছিলো নাটক মাত্র। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাত থেকেই অঞ্চলটির বিভিন্ন স্থানে শক্তি বাড়িয়েছে রুশ বাহিনী। এটা এখন স্পষ্ট যে যেকোনো সময় বড় ধরনের হামলা করতে যাচ্ছে রাশিয়া।

এর আগে, মাইকোলিভে রাতভর ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ করে রাশিয়া।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply