লং মার্চে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সমাবেশে ইমরান খানকে গুলি করার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই এ কথা বলেছেন তিনি। একই সাথে এমন অভিযোগের প্রমাণ দিতে পারলে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণাও দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। খবর আল জাজিরার।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) লং মার্চে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় হামলাকারীরা। এতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর তিনি বলেন, তার পায়ে চারটি গুলি লেগেছে।
এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং এক শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা জড়িত বলে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন সাবেক এ তারকা ক্রিকেটার। এরইমধ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের কোনও অফিসার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। ইমরানের বক্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
হামলার ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে তার সমর্থকরা। পাকিস্তানে আগাম নির্বাচনের দাবি এবং ইমরান খানের ওপর হামলায় প্রকৃত জড়িতদের সামনে এনে বিচারের দাবি তাদের।
এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (৫ অক্টোবর) লাহোরে গণমাধ্যমে নিজের অবস্থান তুলে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন, এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার অধিকার নেই আমার। ইমরান খান যে তিনজনের নাম উল্লেখ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধ প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। যদি আমার বিরুদ্ধে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় তবে চিরতরে রাজনীতি ছেড়ে দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শরিফ আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ‘মিথ্যা ও সস্তা ষড়যন্ত্র’ করে দেশের ক্ষতি করছেন। আমি প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়ালকে একটি পূর্ণ-আদালত কমিশন গঠনের অনুরোধ করছি। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পরে এ বিষয়ে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এএআর/
Leave a reply