ভয়াবহ খরায় কেনিয়ায় মারা যাচ্ছে শত শত বন্যপ্রাণী। দেশটির পর্যটন ও বন্যপ্রাণী মন্ত্রণালয়ের তথ্যে, গেলো নয় মাসেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় চারশ জেব্রা আর দু’শতাধিক হাতির। খাবার আর পানির অভাবে মৃত্যু হয়েছে জিরাফ, মহিষ’সহ আরও ১৪ প্রজাতির প্রাণীর। ফলে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে কেনিয়ার জীববৈচিত্র্য। খবর রয়টার্সের।
পানি আর খাবারের অভাবে গেলো ৯ মাসে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছে ২০৫টি হাতি। চলতি বছর গেলো ৪ দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরায় পূর্ব আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশ। আর তাতেই তৈরি হয়েছে এ পরিস্থিতি। হাতি ছাড়াও এই খরায় প্রাণ হারিয়েছে কেনিয়ার শত শত বন্যপ্রাণী। মৃতের তালিকায় জিরাফ, জেব্রা, ওয়াইল্ডবিস্ট’সহ রয়েছে অনেক বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীও।
কেনিয়ার পর্যটন ও বন্যপ্রাণী মন্ত্রী পেনিনাহ ম্যালোঞ্জা বলেন, চলমান খরায় গেলো ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের ১৪ প্রজাতির বন্যপ্রাণি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৫১২টি ওয়াইল্ডবিস্ট, ৩৮১টি জেব্রা হারিয়েছে আমরা। এছাড়া ২০৫টি হাতি এই খরায় মারা গেছে। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৪৯টি বিরল প্রজাতির জেব্রা ও ১২টি জিরাফের।
খরায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কেনিয়ার উত্তর ও দক্ষিণের এলাকাগুলো। দেশটির বেশিরভাগ হাতির আবাসস্থলও এইদিকে। বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, বন্যপ্রাণীর এমন মৃত্যু দেশটির জীববৈচিত্র্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
দেশটির ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের কর্মকর্তা স্যামসন লেনজির বলেন, আমরা কেনিয়ায় হাতিদের একটি গোটা প্রজন্মকেই হারিয়ে ফেলছি। এই এলাকার হাতির অস্তিত্ব এখন সংকটে। গরু কিংবা অন্য গবাদি পশুর অবস্থা তো আরও শোচনীয়। এমনকি মানুষও মারা যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছি আমরা। কেনিয়ার জীববৈচিত্র্যের ওপর যা ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে।
যদিও সম্প্রতি এই অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা মিলছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। কেনিয়ার আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস, সামনের মাসগুলোতেও অল্প পরিমাণে বৃষ্টি হবে। একটি হাতি প্রতিদিন গড়ে ২৪০ লিটার পানি পান করে। আর তাই হাতিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর মৃত্যুঝুঁকি কমছে না আপাতত।
এটিএম/
Leave a reply