বছরের ব্যবধানে আটা ময়দার দাম দ্বিগুণ হয়েছে। আমদানি নির্ভর মোকামে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তাপ। ডলারের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ায় ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে অনেকে ব্যবসায়ী সতর্কমূলক অবস্থান নিয়েছেন। কমেছে আমদানির পরিমাণ। দেশে গমের উৎপাদন বাড়লেও এখনও চাহিদার আশি ভাগ আসে বিদেশ থেকে। বাড়তি দামে নাকাল ক্রেতারা। কার্যকর বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
বিশ্ববাজারে গম সরবরাহের ক্ষেত্রে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে গমের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। প্রভাব পড়েছে স্থানীয় মোকামেও। মোটা চালের দামের পাশাপাশি আটা-ময়দার দরও ঊর্ধ্বমুখী।
সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেট জাত আটা-ময়দার দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। খোলা আটার দরও ঊর্ধ্বমুখী। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের-টিসিবির পরিসংখ্যান বলছে, বছরের ব্যবধানে ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে আটা ময়দার দর।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের তুলনায় গত ৬ মাসে দেশে ১৪ দশমিক ১১ লাখ টন গম কম আমদানি হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বলছে, ডলারের দাম উঠা নামার কারণে অনেক ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খোলা কমিয়ে দিয়েছেন।
গেল ২০ বছরে বাংলাদেশে গমের চাহিদা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। চাহিদার ৮০ শতাংশ গম আমদানি করতে হয়। এর অর্ধেক আসে ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে।
এটিএম/
Leave a reply