যমুনা টিভিতে সংবাদ প্রকাশ: খর্বাকৃতি সেই পরিবার পেল লক্ষাধিক টাকা ও ঘর বাঁধার টিন

|

অসহায় খর্বাকৃতি পরিবারের হাতে নগদ অর্থ ও টিন তুলে দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক।

আখাউড়া প্রতিনিধি:

যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর আখাউড়া পৌর সদরের দেবগ্রামের খর্বাকৃতি প্রতিবন্ধী পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন।

সোমবার (৭ নভেম্বর) জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম খর্বাকৃতি পরিবারের কর্তা মজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে নগদ ১ লাখ ৬ হাজার টাকা এবং ঘর বাঁধার জন্য দুই বান টিন তুলে দেন।

টাকা ও টিন পেয়ে দারুণ খুশি মজিবুর রহমান ও তার পরিবার। আবেগাপ্লুত হয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতাম। যমুনা টেলিভিশন ও যুগান্তর পত্রিকায় রিপোর্ট হওয়ার পর আখাউড়া ইউএনও স্যারের মাধ্যমে ডিসি স্যার আমাকে ডেকে যে সহযোগিতা করেছে তা আমি কখনও ভুলবো না।

এর আগে শুক্রবার (৪ নভেম্বর) আখাউড়ার খর্বাকৃতি পরিবারটি নিয়ে যমুনা টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার করা হয়। খবরটি দৃষ্টিগোচর হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তাদের বাড়িতে যান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অগ্যংজাই মারমা ও উপজেলা সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম চৌধুরী। তারা মজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।

ইউএনও অংগ্যজাই মারমা বলেন, যমুনা টেলিভিশন ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রচারিত খবরটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিসি মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর হয়। তার নির্দেশেই মজিবুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, মজিবুর রহমানের পরিবারকে ব্যবসার জন্য নগদ ১ লাখ এবং ঘর বাঁধার জন্য দুই বান টিন ও মিস্ত্রী খরচ বাবদ আরও ৬ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। একটি হতদরিদ্র অসহায় পরিবারের মুখে এতটুকু হাসি ফুটানো মানবতার বড় উদাহরণ। যা ওই দুটি মিডিয়ার রিপোর্টিংয়ের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে।

এএআর/ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply