পুলিশ পরিচয়ে ধর্ষণ মামলার আসামিকে পালাতে সাহায্য, গ্রেফতার ২

|

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, জয়পুরহাট:

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ধর্ষণ মামলার আসামিকে পালাতে সাহায্য করা এবং পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে দুই কথিত সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে আক্কেলপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো, ক্ষেতলাল উপজেলার মিনিগাড়ী গ্রামের মৃত তছলিম উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক এবং ক্ষেতলাল পৌর এলাকার বুড়াইল মহল্লার মৃত মোতারব হোসেনের ছেলে এস এম মিলন। আক্কেলপুর উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ভিকনী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী, স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার দেওগ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে শামীম দীর্ঘদিন থেকে ওই নারীকে মোবাইল ফোনে বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩ দিন পূর্বে ভুক্তভোগী ওই নারী আক্কেলপুর পৌর সদরের মানিকপাড়াস্থ তার খালার বাসায় বেড়াতে যায়। মোবাইল ফোনে তা জানতে পেরে গত রোববার (৬ নভেম্বর) খালার বাড়িতে গিয়ে ওই নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে খালা-খালু এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষক শামীমকে আটক করেন। ওই দিন বিকালে তার স্বামী এসে তাকে এবং ধর্ষককে উপজেলার ভিকনী গ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

ক্ষেতলাল উপজেলার মিনিগাড়ী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক এবং এস.এম.মিলন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেয়। এ সময় আব্দুর রাজ্জাক ও এস.এম মিলন ধর্ষক শামীমের সাথে কথা বলার নাম করে বাড়ির বাহিরে ডেকে নেয়। এ সময় কথা বলার এক পর্যায়ে এস. এম. মিলন তাকে পালিয়ে যেতে দিয়ে ফেসবুকে ঘটনাটি লাইভ ভিডিও করতে থাকে। এ সময় স্থানীয়রা অভিযুক্ত শামীমকে পলিয়ে যেতে দেয়ার অভিযোগে আব্দুর রাজ্জাককে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে কিন্তু মিলন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা করলে ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিলনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। তবে ঘটনার পর থেকে ধর্ষক শামীম পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আব্দুর রাজ্জাক দৈনিক দেশবাংলা এবং এস. এম. মিলন নিজেকে দৈনিক প্রত্যাশা প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেন।

আক্কেলপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ধর্ষণ মামলার আসামিকে পালাতে সাহায্য করা ও পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করায় কথিত ওই ২ সাংবাদিককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply