বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে লাগানোর প্রত্যয় শান্তর

|

বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নাজমুল হাসান শান্ত।

কাগজে কলমের প্রাপ্তির সাথে মাঠের একরাশ হতাশা নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব, সোহান-মিরাজ ও কোচিং স্টাফ ছাড়া বাকিরা গভীর রাতে ফেরেন দেশে। বিশ্বকাপের পারফরমেন্সে হতাশ নয় দল, এবারের আসর থেকে নেয়া শিক্ষা সামনে কাজে লাগবে-বলে জানিয়েছেন ওপেনার নাজমুল শান্ত।

বিমানবন্দরটা হতে পারতো সিডনি, তা না হয়ে হলো ঢাকা। সেমিফাইনাল খেলতে সিডনিতে নেমে গনমাধ্যমের ফ্লাশে তাসকিন-ইবাদতদের মুখগুলো হতে পারতো গর্বের উপলক্ষ্য। কিন্তু প্রায় হাতে আসা সুযোগটা হাতছাড়া হয়েছ অ্যাডিলেডে। অনেকে ভক্তের চোখে অবশ্য চুরি গেছে স্বপ্ন। সেই হতাশাটা স্পষ্ট দেখা গেছে দেশে ফেরা ক্রিকেটারদের চোখেমুখে।

তবু স্বপ্নের কথাই শোনালেন ওপেনার শান্ত। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শান্ত বলেন, হতাশ হয়েছি তা বলবো না। আসলে ওয়ার্ল্ডকাপ শুরুর আগেই কেউই তো আগে চিন্তা করেনি যে এভাবে সেমিতে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। আমরা শুধু চিন্তা করেছি যে আমরা কতোটা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। নিঃসন্দেহে খুবই ভালো একটা সুযোগ ছিল, যা আমরা নিতে পারিনি। এই শিক্ষাটা সামনের বিশ্বকাপে আমাদের কাজে দেবে।

অথচ শুরু থেকে এই শান্তকে নিয়ে কম সমালোচনা আর ট্রল হয়নি। সব উত্তর ব্যাটে দেয়া এই ওপেনার বললেন নিজের মানসিক অবস্থার কথা।আমি ম্যাচের খেলা আর প্র্যাকটিসেই ফোকাসড ছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো করেছি, সামনে আরও ভালো করতে চাই।

এ প্রসঙ্গে নাজমুল শান্ত বলেন, আমি আসলে ওদিকে ফোকাসই করিনি।

দুই ম্যাচে জয় হলেও মিডল অর্ডার সহ ব্যাটিং ব্যর্থতা ভুগিয়েছে দল। মোটা দাগে প্রাপ্তি কি? এ প্রশ্নের জবাবে নাজমুল শান্ত বলেন, বোলিং ডিপার্টমেন্ট প্রত্যেকটা ম্যাচে ভালো করেছে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাথে আরও শেখার মিশন আপাতত শেষ টাইগারদের। কতোটা শিখলো টাইগাররা সেটা অবশ্য দেখা যাবে আসন্ন ভারত সিরিজেই।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply