নীলফামারী-রংপুরে স্কুলেই যৌনস্বাস্থ্য ও পুষ্টিজ্ঞান বিষয়ে জানছেন শিক্ষার্থীরা

|

কিশোরীরা তাদের ওজন পরিমাপ করে অপুষ্টির মান বের করতে পারে অনায়াসে। মাসিককালীন, শরীরের পুষ্টি চাহিদার সঠিক জ্ঞান যেমন তাদের রয়েছে, তেমনই জেন্ডার সংবেদনশীলতা, সহিংসতা প্রতিরোধের মতো সামাজিক উন্নয়নমূলক বিষয়গুলোও তারা শিখছে ক্লাসের মাধ্যমে, শিক্ষকদের কাছ থেকেই। এমন দৃশ্যের দেখা মিলবে, নীলফামারী-রংপুরের অনেক স্কুলে।

নীলফামারীর পাঙ্গা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কিশোর-কিশোরী কর্নারের মতো রংপুর, নীলফামারীর অনেক স্কুলে শিক্ষার্থীরা সমাজের ট্যাবু ভেঙে মাসিককালীন বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের বিষয়ে যেমন জানতে পারছে, তেমন জেন্ডার সংবেদনশীলতা, বয়ঃসন্ধিকালের পরিবর্তন, সহিংসতা প্রতিরোধসহ জীবনের অপরিহার্য বিষয়গুলোও শিক্ষা পাচ্ছে।

অনেক স্কুলেই কেয়ার বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও ইএসডিও, জানো প্রকল্প বাস্তবায়নে এসব কর্নার তৈরি করেছে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

পাঙ্গা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, যেহেতু এখন তারা সবকিছু জানতে পারছে; এই জ্ঞান তাদের সুস্থ জীবনযাপনের জন্য সহায়ক হবে। সুস্থ জাতি গঠনে তারা ভূমিকা রাখবে।

মাসে ২টি করে ক্লাসে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে শিক্ষকদের কাছ থেকে নানা ধরনের ট্যাবু ও জীবনমুখী বিষয় নিয়ে শিক্ষা পায়।

এ প্রসঙ্গে নীলফামারী শিক্ষা অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন হলো কিশোরীদের আমরা আয়রন ফলিক অ্যাসিড খাওয়াচ্ছি; এক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সহযোগিতা পেয়েছি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে ওরা জানছে যা ওদের জন্য মঙ্গলজনক।

কট্টর সমাজের মানসিকতার বিরুদ্ধে আগামীর কিশোরীদের এমন বন্ধুর পথে এগিয়ে চলার পদধ্বনিই জানান দেয় যে, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম নিজেদের দায়িত্ব নিতে জানে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply