ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ইতোপূর্বে রড ছাড়া বাশ দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিংয়ে ঢালাই দেওয়ার কথা শোনা গেলেও। এবার ঝিনাইদহ সদরের বালিয়াডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের কাজে রড ছাড়াই শুধু মাত্র ইট, খোয়া, বালি দিয়ে ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে। মাগুরার উত্তরা ইস্পুল সেন্টার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ কাজ করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে এ ধরনের অনৈতিক কাজ করায় এলাকাবাসী হতবাক ও ক্ষুব্ধ হয়েছে। তারা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সহ সংশ্লিষ্ঠদের বিচারের দাবি জানিয়েছে।
বালিয়াডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আলিবর্দি বিশ্বাস জানান, ঝিনাইদহ সদরের বালিয়াডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একতলা ও দ্বিতলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রায় এক কোটি টাকার এ নির্মাণ কাজটি মাগুরার উত্তরা ইস্পুল সেন্টার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের মাধ্যমে পায়। তাদের কাছ থেকে স্থানীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাব্বির এন্টার প্রাইজ কাজটি উচ্চ মূল্যে ক্রয় করে নির্মাণ কাজ শুরু করে। নিম্নমানের ইট, বালি, খোয়া দিয়ে কাজটি করে আসছিল ঠিকাদার মাসুদুর রহামান। গত সোমবার বিকালে সবার অগোচরে এ নির্মাণ কাজের লিনটন ঢালাই এর কাজ শেষ করা হয়। লিনটন ঢালাইয়ে রড ব্যবহার করা হয়নি জানতে পেরে স্থানীয়রা গতকাল মঙ্গবার বিকালে লিনটন ভেঙ্গে দেখতে পায় আসলেই কোন রড ব্যবহার করা হয়নি। কাজটি আগামী ডিসেম্বরে শেষ হবার কথা রয়েছে।
এলাকাবাসী মোঃ ইসলাম জানান,বিদ্যালয়টির নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। ঢালাইয়ে রড ব্যবহার করা হয়নি।
সাব্বির এন্টার প্রাইজের ঠিকাদার মাসুদুর রহামান জানান, নির্মাণ কাজে রড ব্যবহার করা হয়নি এটা সঠিক নয়, তবে কাজে কিছুটা ত্রুটি আছে ।
বালিয়াডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিপ্লব হোসেন জানান, নির্মাণ কাজে যখনই ত্রুটি দেখেছি তখনই অভিযোগ করেছি। লিনটন ঢালাইয়ের সময় ইঞ্জিনিয়ার থাকার কথা ছিল। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতেই কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে। ঢালাইয়ের সময় কোথাও একেবারেই রড ব্যবহার করা হয়নি। বিষয়টি যদি আমরা জানতে না পারতাম তাহলে ভবিষ্যতে কোমল মতি শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারতো, তখন এর দায়ভার কে নিতো।
ঝিনাইদহ শিক্ষা প্রকৌশলী বিভাগের সাব এ্যাসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ন কবির জানান, আমার অনুপস্থিতিতেই এ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আমি জানার পরপরই ঠিকাদারকে শোকজ করেছি।
Leave a reply